ইকোনোমিস্ট
'উৎসব, উত্তাপ, আমেজহীন, প্রহসনের নির্বাচন', এ ধরণের শিরোনামের পোস্ট ও লেখায় ব্লগ ও মিডিয়া ভরে যাচ্ছে; পড়েও শেষ করতে পারছি না; মুল বক্তব্য: গণতন্ত্রের ডিম্বটি ভোটের বাক্সে প্রসব করতে পারেননি, তলপেট ভারী হয়ে আছে। এসব লেখক ও ব্লগারদের কাছে আমার প্রশ্ন, 'ভোট না দেয়ার জন্য টাকা পেয়েছেন?' না পেলে, আরো কয়েকটা পোস্ট ছাড়ুন, আমরা পড়বো। আর টাকা পেলে ওগুলো খরচ করুন, দু:খ কমে আসবে, কি-বোর্ড একটু বিশ্রাম করুক।
এ ধরণের ভোটের জন্য পাকি আইএসআই ২০ হাজার কোটীর বেশী বরাদ্দ করেছে আমাদের খালেদা বেগমের জন্য; তারেক আরবদশ ও ইউরোপ আমেরিকা থেকে বিলিয়ন ডলার জমা করেছে। নমিনেশন ব্যবসা থেকে খালেদা বেগম ও হাসিনা বেগম ১৫০০ কোটীর কাছাকাছি টাকা পাবার কথা ছিল; কিন্তু খালেদা বেগম পায়নি; ২০০০ কোটী টাকার ভোট বেচাকেনা হওয়ার কথা ছিল: এসব টাকা বাজারে প্রবেশ করেনি: উৎসব, উত্তাপ, আমেজ কোথা থেকে আসবে?
ভোট হওয়ার ১ মাস আগের থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩/৪ কোটী কাপ চা বেশী বিক্রয় হওয়ার কথা ছিল, লাখ লাখ কিলো মিস্টি, কয়েক কোটী প্যাকেট সিগারেট, রিকসা সিএনজি, গাড়ীতে আনন্দ ভ্রমণ, রাত জেগে ক্যানভাস, এসব ঘটেনি; উৎসব, উত্তাপ, আমেজ কোথা থেকে আসবে?
ইডিয়টদের ১ কাপ চা, ১ প্যাকেট বিড়ি, ১ টা লুংগি বা শাড়ী না দিলে, হাতের মাঝে ১০০ টাকার নোট ও মাথার উপর কোরান না দিলে, ভোটকে ভোট মনে হয়?
যেসব ব্লগার ও লেখক ভোটের বাজারের ফাইন্যান্স ও ক্যাশ ফ্লো না বুঝে বালছাল লিখে ব্লগ ভরাচ্ছে, তাদের বলবো, ২০১৮ সালের আগে আর উৎসব, উত্তাপ ও আমেজ আর দেখবেন না; বসে বসে হা-হুতাশ করুন: যারা সাহসী ও দায়িত্বশীল নাগরিক, তারা ভোট দিয়ে দিয়েছেন, আপনার ডিম পাচায় নিয়ে বসে থাকুন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।