উন্নত বিশ্বের সাথে উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো যে, উন্নত বিশ্বের মানুষেরা সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করতে চায়। অন্যের দুঃখে দুঃখিত হয় এবং অপরের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করে। আর আমরা অন্যের কষ্টে আনন্দ পাই, উন্নয়নের পথে যতটুকু সম্ভব তার চেয়ে বেশি বাধা দে
বগুড়ায় জামায়াতকে ফাঁসাতে নিজ স্কুলের আসবাবপত্রে আগুন প্রধান শিক্ষকের এবং হাতে নাতে ধরা পড়েছে ওই আওয়ামীলীগ সমর্থক শিক্ষক !! এই ঘৃন্য জগন্য কাজ করার পরে জনগনের হাতে ধরা পড়েছে বলেই আমরা জানতে পারছি যে ইনি আওয়ামীলীগ সমর্থক শিক্ষক !!
জামাত শিবির তো এমনেই ফেঁসে আছে যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতা বিরোধী ট্যাগ নিয়ে ১৯৭১ সাল থেকেই ! তবে কেন এই আওয়ামীলীগ সমর্থক শিক্ষক নিজ স্কুলের আসবারপত্রে আগুন দিলেন ?? এখানে কিসের ইঙ্গিত বহন করে ?
অন্যদিকে ভোটের পরদিনথেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর চলছে নির্যাতন, তাঁদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে , তাঁদের সম্পদ লুঠ করা হচ্ছে , তাঁদের সম্পদ ধংস করা হচ্ছে, লুঠতরাজ সৃষ্ঠি করা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর !! টি ভি মিডিয়াতে ফলাও করে দেখানো হচ্ছে এই সব জামাত শিবির বা বি এন পির লোকেরা করেছে , কিন্তু প্রশাসন একজন লোকও গ্রেপ্তার করতে পারছেনা ..
হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর এই নগ্ন হামলা কিন্তু এই প্রথম নয় ! এই বাংলাদেশে কোনো সমস্যা দেখে দিলেই শুরু হয়ে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বা অন্যান্য সরকারী ঘোষিত সংখ্যা লঘুদের উপর হামলা হয় আক্রান্ত হয় তাঁরা বিভিন্ন ভাবে ! কিন্তু কথাও কোনো আক্রমনকারী ধরা পড়েছে বা কারো প্রকাশ্যে বিচার হয়েছে এই রকম আমার মনে পড়ছেনা! কিন্তু সরকার বা প্রশাসন কেন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছেনা , কেন শাস্তির আওতায় আনতে পারছেনা , এই হিন্দু সম্প্রাদয় বা সরকার ঘোষিত সংখ্যা লঘুদের এই আক্রমন বা নির্যাতন সেই ১৯৭১ হতে চলে আসছে আর বরাবরই এর সুবিধা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, যেহেতু তারা অসাম্প্রদায়িক মার্কা যুক্ত ! এই অসাম্প্রদায়িক দল ক্ষমতায় থাকা কালেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি সম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হয় আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে | ৭১, ৭৫, ৯০, ৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং এই ২০১৪ তে এসেও রক্ষা পাচ্ছেনা হিন্দুরা ! কিন্তু কেন ..
টিভি আর মিরিয়া ফেঁটে যাচ্ছে জামাত শিবিরের তান্ডবের শিকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় , কিন্তু কেউই ধরা পড়ছেনা !! এই নির্বাচনের আগে থেকে পুলিশ , র্যাব , যৌত বাহিনী এবং সেনা বাহিনী মাঠে রয়েছে সাথে রয়েছে সরকার দলীয় লাঠি বাহিনী যা আমরা ২৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে দেখেছি ! তবে এত এত বাহিনী থাকতে কেন ওই ঠুগ্খ্যা জামাত শিবিরের হাতে মার খাবে আমাদের দেশের নিরীহ নিরস্ত্র জনগণ ??
তবে কি সংখ্যা লঘু বা হিন্দু সম্প্রদায়কে সামনে রেখে শুধু জনমত বা সহানুভুতি প্রত্যাশা এই অসম্প্রদায়িক সরকারের ?? নির্বাচনের আগেরদিন রাত পর্যন্ত খবরে যা দেখলাম ১১২ টি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পুড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন প্রতিহত কারীরা ! কিন্তু গতকাল মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেলন জামাত শিবির বা বি এন পি যত প্রায় ৫০০ এর ও বেশি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে !! আমার প্রশ্ন সংখ্যা যখন ১১২ ছিল তখন প্রশাসন কি একটু নড়ে চড়ে এই স্কুল গুলা এই সন্ত্রাস বাদের হাত থেকে বাঁচাতে পারতনা ?? উত্তর জানা নেই ! কিন্তু এইটা জানি বছরের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের অনেক কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারছেনা , কিছু হিন্দু মানুষ যারা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক তাঁরা রাতে সন্ত্রাসী আক্রমনের ভয়ে ঘরে থাকতে পারছেনা .... ! আর এই নতুন নয় , বাংলাদেশ যখনি নতুন কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয় এই সহিংসতার , এই সন্ত্রাসবাদের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কিন্তু দমন হচ্ছেনা ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।