ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত রমনা কালি মন্দিরে আগামী ৪ঠা অক্টোবর কথিত গণশ্রাদ্ধ আয়োজন করতে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিন্দু গোষ্ঠী। তাদের দাবি, তারা ৭১ সালে নিহত হিন্দুদের জন্য গণশ্রাদ্ধ্যের আয়োজন করবে। এরপর মুসলমান, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় গুরু এনে তাদের জন্য প্রার্থনা ব্যবস্থা করা হবে।
বলাবাহুল্য এ অনুষ্ঠান কথিত অসাম্প্রদায়িক চোখে এক মহৎ উদ্যোগ মনে হলেও এর মুখোশের ভেতরে রয়েছে এক চরম সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য। কারণ এই সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা দাবি করছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নাকি তাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছিল।
সত্যিই লজ্জাজনক। । ।
বলাবাহুল্য মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব সাম্প্রদায়িকরণের মত এত জঘণ্য উদ্যোগ এর আগে কোন ধর্মালম্বির লোক দেখিয়েছিল বলে নজির নেই। কিন্তু সেই সাহস দেখালো বাংলাদেশের হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী।
শুধু তাই না মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি উপেক্ষা করে ভাড়া করা হুযূর এনে মন্দিরের মধ্যে কথিত তিথীতে মুসলমানদের জন্য দোয়া করার অনুমতি তাদের কোন মুসলমান দিল তাও জানা নেই,
কিংবা হিন্দুদের শহীদ (মুসলমানদের ধর্মীয় শব্দ) বলার অনুমতি তারা কাদের কাছ থেকে পেয়েছে তাও জানা নেই।
সত্যি কথা বলতে ’৭১ সালে হিন্দুদের অবদান বেশি এক কথা শোনার পর এদের কাছে আমার প্রশ্ন: শতকরা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তাদের কত পার্সেন্ট তাদের লোক ছিল? আর হিন্দুগ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অসংখ্য মুসলমান গ্রামও কি জ্বালিয়ে দেয় হয় নি, যুদ্ধাহতদের মধ্যে কত শতাংশ লোক হিন্দু ছিল? বীরশ্রেষ্ঠ দের মধ্যে কত শতাংশ হিন্দু ছিল? আমি জানি, সঠিক সংখ্যা দেখে হিন্দুরা এই তর্কে আর কখনেই আসবে না। ।
তবে পূর্বের স্বাধীনতার ইতিহাস ঘাটলে হিন্দুদের জন্য কেচো খুড়তে সাপ বের হয়ে যাওয়ার দশা হবে। দেখা যাবে হিন্দুরা বরবরই আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধচারণ করেছিল।
ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধতা করা, লুটতরাজ এবং জুলুম করা, বাঙলাকে খন্ড করে পশ্চিমবঙ্গকে হিন্দুস্থানের অন্তভূক্ত করা এগুলো তাদের স্বজাত প্রবৃত্তি।
পাশাপাশি বাংলাদেশের থেকে সুবিধা চেলেও এরা কখনই আমাদের ভাল চাইনি। উল্টো ভাল দেখলে তা ভন্ডুল করার চক্রান্তে নেমেছে। যার অসংখ্যা উদাহরণের মধ্যে একটি হচ্ছে ক্ষুদিরামের উদাহরণ। বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নতি হবে বলে তার নিজেকে ফাসির দড়িতে পযর্ন্ত ঝুলিয়ে তা ভন্ডুল করেছে এই কট্টর হিন্দু।
বতর্মানে হিন্দুদের দেশ ভারত আমাদের বর্ডারে পাখির মত গুলি করে মানুষ মেরে যাচ্ছে, কিংবা কিংবা ভারত আমাদের তিস্তার পানি আটকে দিয়েছে, অথবা স্থলসীমা চুক্তি বন্ধ করে সিট মহলের প্রাপ্য জমি দিচ্ছে না।
ঠিক আছে তারা যদি বাঙালীই হয়ে থাকে তবে তারা এর বিরুদ্ধে বলুক, প্রতিবাদ করে ভারত সরকার থেকে দাবি দাওয়া আদায় করুক। তাহলে বোঝা যাবে এরা কেমন বাঙালী, কেমন সেক্যুলার। কৈ এগুলোর বিরুদ্ধে তো তারা বলছে না। উল্টো দুর্গা পুজায় ৩ দিনের ছুটি চাই, সংসদে ২০ পার্সেন্ট সিট চাই, চাকুরীতে অত পার্স্টেন্ট কোটা চাই, শুধু চাই চাই, কিন্দু দেবার কিছুই নেই।
তারা যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন অবৈধ ঘাটি গেড়েছে, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির সময় তা বন্ধ করার জন্য হিন্দুরা তো বহু চেষ্টা করেছে। এই ইতিহাস কি তারা অস্বীকার করতে পারবে? কখনই পারবে না। অন্যদিকে, এখন যে রমনা কালি মন্দিরে তারা অবৈধ ঘাটি বানাতে চাচ্ছে, সেখানে তাদের চরম সাম্প্রদায়িক মনোভাব সমগ্র ঢাবি ছাত্রদের ক্ষুব্ধ করেছে। ক্ষুদ্র এক মন্দিরকে কেন্দ্র করে তারা এখন বিশাল যায়গা দখল করার পায়তারা করছে এবং করেছেও। কয়েক বছর আগেও তার রাতের আধারে জঘন্নাথের ২০০-৩০০ হিন্দু ছাত্র এনে পুকুরসহ বিশাল এলাকা কাটাতার দিয়ে দখল করে নেয়।
এই মন্দিরটি তাদের গুরুত্বপূণর্ কেন্দ্র না হলেও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে একে তাদের হিন্দুত্ববাদের কেন্দ্র বানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সারা বাংলাদেশ থেকে বাস দিয়ে লোক এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হিন্দু জমায়েত করছে।
পাশপাশি স্বরসতি পূজার সময় হিন্দু মেয়েদের শরীর ও মদ পাওয়া যাবে সরাসরি এমন লোভ দেখিয়ে পুজায় মুসলমান ছাত্রদের ভিড় জমানো হচেছ। এগুলো অস্বীকার করা কিন্তু কোনই উপায় নেই।
এখন আপনি সেক্যুলার মন মানসিকতা থেকে বলতে পারেন, থাকনা ওরা সংখ্যালঘু, ওদের একটু ছাড় দিলে কি হয়।
ঠিক আছে আপনি তাদেরকে ছাড় দিলেন, ওরা তো ভারতের মুসলমানদের ছাড় দেয় নি। ওরা গুজরাটে মায়ের গর্ভে থাকা ৭ মাসের শিশুটিকে ছাড় দেয়নি, পেট কেটে বের করে এনেছে, ওরা মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চলে মুসলমান আসন সংরক্ষিত করে ছাড় দেয়নি, অন্যায্যভাবে দলিতদের জন্য সংরক্ষিত করেছে, ওরা তো মুসলমানদের মসজিদের যায়গা ছাড় দেয়নি, ভেঙ্গে মন্দির রাম বানিয়েছে। তাহলে ওদের জন্য ছাড় কিসের।
মানবতা ভাল, অপরের মঙ্গল চাওয়া তাও ভাল, কিন্তু নিজ প্রাপ্যকে বার বার কাপুরুষের মত অন্যের হাতে তুলে দেয়া কখনই ভাল লক্ষণ নয়। সবাইকে ধন্যবাদ।
সূত্র;
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।