রাজধানী থেকে দক্ষিণের পথে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকায় শুক্রবার ভোর থেকেই যানজট লেগে আছে বলে আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কাঁচপুর, সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাতেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিচ্ছিন্ন জটে থমকে যাচ্ছে যানবাহন।
আর উত্তরের পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশে, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মহাসড়কেও যানবাহনের তীব্র চাপ থাকায় গাড়ি চলছে খুব ধীর গতিতে।
শীতের সকালে কুয়াশার কারণে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে দীর্ঘ সময় লঞ্চ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।
প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আবার ফেরি পারাপার শুরু হলেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ রক্ষাকারী এ দুই ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
পদ্মার দুই পাশেই শত শত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি দীর্ঘ সময় ধরে থমকে আছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
ফাইল ছবি
তবে বঙ্গবন্ধু সেতুতে কোনো জটিলতা নেই বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন পশ্চিমপাড় থানার ওসি এটিএম আমিনুল ইসলাম।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট মো. হাসান জানান, চান্দিনা থেকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মগাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
“দুই দিন অবরোধ না থাকায় অসংখ্য যানবাহন রাস্তায় নেমেছে। এর মধ্যে সকালে ছিল ঘন কুয়াশা। এ কারণেই এমন যানজট। ”
মহাসড়কে গাড়ির তীব্র চাপ থাকার কথা বলেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন ও সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমানও। তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।