যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........
মহাজোট সরকারের সবচেয়ে বয়সী মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রণালয়ে কাজের চাপও অন্যগুলোর চেয়ে বেশি। তবুও অফিসে খাট পেতে বিছানার ব্যবস্থা করেননি তিনি। নিজের দপ্তরে ছিল না কোনো কাঁথা-বালিশও। মুহিতের দপ্তরে এমন ব্যবস্থা না থাকলেও তুলনামূলক কম বয়সী অনেক মন্ত্রীর রুমেই আলমারির আড়ালে ছিল শুয়ে আরাম করার মতো নরম বিছানা।
নতুন সরকারের মন্ত্রীদের কেউ কেউ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সেসব বিছানা দেখে হতাশ হয়েছেন, ক্ষুব্ধও হয়েছেন কেউ কেউ। মন্ত্রণালয়ে এসে শুয়ে বিশ্রাম করার মতো সময় মন্ত্রীরা কোথায় পেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নতুন মন্ত্রীদের কেউ কেউ।
ঠিক কতজন মন্ত্রীর দপ্তরে এমন বিছানা ছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রী মান্নান খান, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে এমন বিছানা ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরের বিছানাটি ফারুক খানের সময়ই ছিল, নাকি জি এম কাদেরের সময় আনা হয়েছে-তা অবশ্য জানা যায়নি।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর শিল্পমন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেসব বিছানা বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর তোফায়েল আহমেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সেখান থেকে বিছানাগুলো বাইরে সরানোর নির্দেশ পেয়েছেন মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তোফায়েল আহমেদ আগের মেয়াদে নিজের রুমটিকে খুবই আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়েছিলেন। এবার দপ্তরে ঢুকেই এলোমেলো অবস্থা দেখে কিছুটা হতাশ হয়েছেন। মন্ত্রীর রুমটি অনেক বড় হলেও রুমের মাঝখানে সেলফ বসিয়ে পুরো রুমটিকে দুই ভাগ করা হয়েছে।
পেছনের ভাগে একটি বিছানাও রয়েছে, যাতে আগের মন্ত্রীরা শুয়ে বিশ্রাম নিয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বিছানা সরানোর পাশাপাশি রুমের পার্টিশন সরানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দপ্তর গোছানোর কাজ শুরু করেছি। '
বালের কন্ঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।