একজন বাঙ্গালী বলছি!
ব্যক্তিজীবনে একজন মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বাইরে তার পেশাজীবনের নিজ বৃত্তেরও কিছু ব্যপ্তি থাকে, যার কারনে তাকে আলাদাভাবে সহজে চেনা যায়। আমার বেলায়ও তার কোনো ব্যত্যয় হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মকালীন পেশার সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা আমার মনে রেখপাত করেছিল যা সহজে ভুলে যাবার নয়। তারই আলোকে এই উপন্যাসটি প্রিয় পাঠকদের জন্যে লেখার প্রয়াস পেয়েছিলাম। আশাকরি পাঠক সমাজ তাঁদের হৃদয়ের সদয় দৃষ্টিকোন থেকে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে মূল্যায়ন করবেন।
নিন্দিত নন্দিনী বইখানি আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত সামাজিক উপন্যাস।
উপন্যাসটি সম্বন্ধে সাম্যক ধারনা পেতে প্রিয় পাঠকদের জন্যে দু-একটা প্যারা এখানে উদ্ধৃতি করলামঃ-
বড় নদীতে দমকা বাতাসে দিশেহারা পালতোলা ছোট ডিঙ্গিনৌকার মতো এলোমেলো ভঙ্গিতে, বিস্তীর্ণ ধানিজমির মাঝদিয়ে আসা, দেবেযাওয়া মেঠোপথটা ধরে, জমেথাকা অন্ধকার কেটে কে যেন উর্দ্ধশ্বাসে এদিকে রেলট্র্যাকের দিকেই ছুটে আসছে। পলটেথাকা ওড়নাটা ছেঁড়া পালের মতো পত্পত্ করে উড়ছে পেছনে। ছুটন্ত দেহের ভাঙ্গা ঢেউ যেন কল্লোল তুলে আছড়ে পড়ছে তার ঘামে ভেজা চুপচুপে খোলা বুকে। মড়া খালটার পারে এসে বাধাপেয়ে একটু দাঁড়ালো সে।
এবার নেমে পড়লো খাঁড়িতে। শুকনো কাদায় নিকানো খালটা পেরিয়ে এপারে এলা একটা যুবতী মেয়ে। ছোটব্রীজের এপাশে রেলপথের ঢালটা এদিকে একটু গভীর; যেকারো পক্ষেই উপরে উঠতে কষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো দিকে না তাকিয়ে, চড়াই উৎরাই বেয়ে রেললাইনের উপর হাঁপাতে-হাঁপাতে উঠে এলো সে তাড়াতাড়ি। সারামুখ জুড়ে ক্লান্তির বিন্দুগুলো চিকচিক করছে।
একটু দাঁড়িয়ে পেছনফিরে শুন্যে তাকিয়ে হাত নেড়ে বিদায়ের মতো, কাকে যেনো কিছু বল্লো অস্ফুটে। এবার উদ্ভ্রান্তের মতো দ্রুত হাঁটা ধরলো সামনে।
নিন্দিত নন্দিনিী
কবির হোসেন
প্রকাশকঃ নন্দিতা প্রকাশ
৩৬, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০
দ্বিতীয় মুদ্রণ
মূল্য- ২৫০ টাকা
২০১৪ একুশে বইমেলায় ‘নন্দিতা প্রকাশ’ এর ষ্টলে বাইখানা পাওয়া যাবে।
ইমেইল :
-------------------------------------------------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।