সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।
সারা দুনিয়ার মানুষ এতদিন ধরে জেনে এসেছে স্প্যানিশ নাবিক কলম্বাসই আবিস্কার করেছিলেন আমেরিকা। কিন্তু সবকিছু গোলমেল পাকিয়েছে একটি নিবন্ধ।
তাতে দাবি করা হয়েছে, কলম্বাসের ৫০০ বছর আগেই আমেরিকা আবিস্কার করেছিলেন এক মুসলিম মণীষী। তার আবু রাইহান আল-বেরুনী। নিবন্ধ বলছে,মুসলিম মণীষী আবিস্কার করলেও পাদপ্রদীপের আলোয় আসে কলম্বাসের নাম।
ইতিহাস লেখক এস ফ্রেডরিক স্টার তার ‘আজকের ইতিহাস’ নিবন্ধে দাবি করেছেন, ১৪৯৮ সালের অনেক আগেই আমেরিকা আবিস্কার করেন আবু রাইহান। নিবন্ধ অনুসারে ৯৭৩ সালে আজকের মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানে জন্ম তার।
ওই ইতিহাস লেখকের মতে, আবু রাইহানই এশিয়া-ইউরোপসহ পৃথিবীর অজানা ভূমি আবিস্কারের প্রথম পথ প্রদর্শক।
আবু রাইহান স্বশরীরে আমেরিকা গেছেন কিনা সেটা স্পষ্ট করেননি নিবন্ধকার। তবে আমেরিকা যে আমেরিকার জায়গায় ছিল সেটার বাস্তবসম্মত ধারণা দেন এই মুসলিম ভূ-গোলবিদ।
১১ শতকে অজানা দেশ আবিস্কারে নামা আবু রাইহান তার চোখ শুধু আমেরিকাতেই বেধে রাখেননি। ভূ-গোল বিশারদ এই মণীষী চোখ রেখেছিলেন পশ্চিম ইউরোপ থেকে শুরু করে পুরো আফ্রিকা, পূর্ব-এশিয়াসহ পৃথিবীর একপঞ্চমাংশের দিকে।
মধ্যপাচ্য, উত্তর-পশ্চিম ও ভারতসহ অনেক দেশের ভাষা জানতেন রাইহান। দক্ষ ছিলেন গণিত, জোতিবিদ্যা, খনি বিদ্যা, ভূগোল, মানচিত্রাঙ্কন বিদ্যা, জ্যামিতি ও ত্রি-কোনোমিতিতে। আর এইসব ব্যাপারে তিনি বিখ্যাত মুসলিম মণীষী আহম্মেদ আল-ফারহানির মতোই দক্ষ ছিলেন বলে ওই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রীক মণীষী ক্লডিয়াস টলেমি ও পিথাগোরাসের মতোই ভূ-গোল বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন আবু রাইহান। টলেমি-পিথাগোরাসের মতো রাইহানও ধারণা দিয়েছিলেন যে, পৃথিবী চারদিকে ঘোরে।
রাইহাসের শিক্ষক আল-ফারহানিও পৃথিবী চারদিকে ঘোরা তত্ত্বের কথা বলেছিলেন। অবাক করা ব্যাপার হলো, যে ভিত্তির কথা উল্লেখ করে কলম্বাস আমেরিকা আবিস্কারে তার নিজের মতের কথা বলেছিলেন, সেটা আল-ফারহানি ও আবু রাইহানের তত্ত্বের সঙ্গে প্রায় পুরোপুরি মিলে যায়।
নিবন্ধকার লিখেছেন, কলম্বাস এটা হয়তো নোট করতে ভুলে গিয়েছিলেন যে, ভ্রমণের ক্ষেত্রে আল-ফারহানি রোমান মাইলসের পরিবর্তে আরব মাইলস ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি কলম্বাস কখনোই আমেরিকা আবিস্কারের কথা চিন্তাও করেননি। জাহাজে উঠার পর প্রথমে কলম্বাস চিন্তা করেছিলেন, তিনি হয়তো এশিয়া কিংবা ইউরোপে গিয়ে উঠবেন।
নিজের শিক্ষকের মতো আবু রাইহান পৃথিবীর ঘূর্ণনের ব্যাপারে যে তত্ত্ব দিয়েছিলেন তার আধুনিক তত্ত্বের সঙ্গে প্রায় সম্পূর্ণ মিলে যায়। নিজ কক্ষে চলার পথে সূর্য ও পৃথিবীর যে সম্পর্ক সে ব্যাপারে রাইহানের তত্ত্ব পুরোপুরি ঠিক।
পৃথিবী ঘূর্ণনের এই তত্ত্ব যখন দেন তখন আবু রাইহানের বয়স ৭০ বছর। শারিরিক কারণেই হয়তো তাকে স্বশরীরে আমেরিকায় নিতে পারেনি। কিন্তু মাপ-ঝোপের সবকিছুই করেছেন তিনি।
তবে আরও অনেক তত্ত্ব বাকি আছে বলেও মনে করতেন রাইহান।
তবে এইসব কথা বলা মানে এই নয় যে, আমেরিকা এখনও আবিস্কার হয়নি। তবে সেখানে আরও দলিল রয়েছে যে, স্ক্যানডিনেভিয়া থেকে নরসম্যান আমেরিকা আবিস্কারের জন্য আইসল্যান্ড ও গ্রীনল্যান্ড অতিক্রম করে কানাডা পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সেখানে দশম শতাব্দী থেকেই আমেরিকার পূর্বসুরীরা বসবাস করতেন।
ফ্রেডরিক তার নিবন্ধে দাবি করেছেন, আবু রাইহানা আল-বেরুনীই পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি যিনি, নতুন পৃথিবী(নিউ ওয়ার্ল্ড) শব্দটার ধারণা দিয়েছেন।
এস ফ্রেডরিক স্টার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি একজন রাশিয়া-ইউরেশিয়া বিশেষজ্ঞ। এছাড়া ‘সেন্টাল এশিয়া ককেশাস ইনিস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা। এ পর্যন্ত ২০টি বেশি বই লেখা ও সম্পাদনা করেছেন। আর নিবন্ধ লিখেছেন ২০০ উপরে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।