এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তারা এক ঝাঁক দুর্লভ পাখিকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেন, যাতে সেগুলো মাইক্রোলাইট অনুসরণ করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে যায়।
পরবর্তীতে এ গবেষণায় দেখা যায়, যখন পাখিরা বাতাসে ডানা মেলে দেয়, তখন তারা কিছুটা ত্রিকোণী অবস্থায় থাকে যা বাতাসকে নিচের দিকে পাঠিয়ে দেয়। এ পরিবর্তনটির মাধ্যমে বাতাস ডানার নিচের দিকের চেয়ে উপর দিয়ে জোরে প্রবাহিত হয়। এভাবে যখন ডানার উপরের বাতাসের চাপটি কমে আসে তখন ডানার নিচের দিকে একটি চাপ তৈরি হয়। বাতাসের চাপের এ তারতম্যটিই পাখিকে উড়তে সাহায্য করে।
এছাড়াও দেখা গেছে, পাখিরা সুবিধাজনক পন্থায় উড়ে থাকে এবং ক্রমশ উপরের দিকে ওঠার জন্য পেছনের পাখি তার সামনের পাখির ডানার প্রান্তের কাছাকাছি থাকে। এভাবে পাখিরা কম শক্তি খরচেই ঝাঁক বেঁধে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে যায়। এ প্রসঙ্গে প্রধান গবেষক ডক্টর স্টিভেন পর্টুগাল ব্যাখ্যা করেছেন, অন্য পাখিরা ঝাঁকের কোন অবস্থানে আছে সে বিষয়ে পাখিরা বেশ সচেতন থাকে। তারা নিজেদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য অবস্থানে রাখার চেষ্টা করে। এভাবেই ‘ভি’ বিন্যাস তৈরি হয়ে থাকে।
গবেষণাটিতে আরও জানা গেছে, পাখিরা নিজেদের মধ্যে সময় একত্রে মিলিয়ে ডানা ঝাপটে থাকে। গবেষণাটির বিস্তারিত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।