সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী গবেষণায় পেয়েছেন যে, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এ থেকে পরে চোখের জটিল রোগ ‘মেক্যুলার ডিজেনারেশন’ এর সৃষ্টি হয়।
মেক্যুলার ডিজেনারেশন হচ্ছে রেটিনার (মেক্যুলা) কার্যকারিতা কমে যাওয়া যার ফলে ধীরে ধীরে অন্ধত্বের সৃষ্টি হয়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর আইড্রপ বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারে এ রোগের সম্ভাবনা অনেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
স্বাস্থ্য সাময়িকী সেল মেটাবায়লিজমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ইঁদুর ও মানুষের ওপর প্রয়োগ করে গবেষকরা জানতে পারেন যে , অধিক কোলেস্টেরলের ফলে চোখের রেটিনার সৃষ্ট ‘ফ্যাট’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
তবে এই গবেষণাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
অর্থাৎ এর থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে কিছুদিন সময় নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
‘মেক্যুলা’ হচ্ছে চোখের রেটিনার সবচেয়ে সূক্ষ্ম অংশ যা ব্যক্তির কাছে বস্তুর প্রতিবিম্বকে স্বচ্ছ করে তুলে ধরে। এর অকার্যকারিতাকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘মেক্যুলা ডিজেনারেশন’ বলে।
সাধারণত বার্ধক্যকালীন সময়ে এই রোগ দেখা দেয় যার ফলে চোখের আলোক সংবেদনশীল সেলগুলোও অকেজো হয়ে যায়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের এক ডাক্তার বলেন, দৃষ্টিহীনতার আরেক রোগ হল ‘মাইক্রোফাজ’।
অপর এক গবেষণায় ডা. রাজেন্দ্র পাতি দেখান যে, ‘মাইক্রোফাজে’র ফলে সেখানে আরো কিছু রক্তের সেলের সৃষ্টি হয় যা চোখকে দীর্ঘ মেয়াদে সিক্ত করে রাখে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, “নতুন এই সেলগুলো চোখকে সবল করার পরিবর্তে রোগ আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে সেলগুলোর এরকম আচরণ সম্পর্কে আমরা এখনো পরিষ্কার নই। ”
সাধারণত সেলের কাজ হচ্ছে চোখের ভিতরকার ফ্যাট শোষণ করে রক্তের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া।
গবেষণায় দেখা যায়, মাইক্রোফাজের ফলে সেলগুলো ফ্যাট শোষণ করলেও তা রক্তে ফেরত পাঠাতে পারে না।
ফলে এতে প্রদাহ হয় এবং ধোঁয়াশাভাব দেখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।