জীবনে সফল হতে না পারি দুঃখ নেই... একজন ভাল মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই...
বর্তমানে ভারত চালায় হিন্দুরা। আজ দিনে-রাতে, পথে-ঘাটে-মাঠে, বাসে নারীরা ধর্ষিত হয়।
একদিন ভারত শাসন করত মুসলিমেরা। কেমন ছিল সেদিন ভারতে নারীদের অবস্থা?
এই ছোট্ট একটি মাত্র উদাহরণ থেকে অনুমান করে নিন।
এক অমুসলিম বুড়ি সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে বলল, জাহাপানা আমি আপনার নিকট এসেছি নালিশ করতে।
আমার বাড়ি আপনার বাড়ির খুবই নিকটে। আমার ছেলে বর্তমানে যুদ্ধে নিয়োজিত আছে আপনার সেনাবাহিনীর সাথে।
আমার এক সুন্দরী পুত্রবধু আছে। প্রতিদিন রাতে কোন এক বেয়াদব আমার বাড়িতে হামলা করে। আর আজ রাতে হয়ত সে আমার পুত্রবধুর ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা করবে।
হয় আপনি ঐ শয়তানের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন নতুবা আজ রাতটা আমাদের নিরাপত্তা দিন, আমরা আগামীকাল আপনার রাজ্য ছেড়ে চলে যাব।
সম্রাট জাহাঙ্গীর চুপ করে আছেন।
বৃদ্ধা তাকে চুপ থাকতে দেখে রেগে গেলেন এবং বললেন, জাহাঙ্গীর আমি তোমাকে জন্মাতে দেখেছি। তুমি যদি দায়িত্ব না নেও, আর যদি আজ রাতে আমার পুত্র বধুর ইজ্জত নষ্ট হয় তবে জেনে রাখ জাহাঙ্গীর, তুমি যে আল্লাহকে বিশ্বাস কর, কাল কেয়ামতের দিন তোমার ঐ আল্লাহর নিকট আমি তোমাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।
সম্রাট জাহাঙ্গীর তখনও কিছু বললেন না।
বুড়ি চলে গেলেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর নিজে ঐ রাতে বুড়ির বাড়ির নিকটে চলে গেলেন। তিনি দেখলেন বাড়ির বাইরে একজন প্রহরী ও ঘোড়া। তিনি প্রহরীকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করে ঘোড়ার পিঠে পা দিয়ে দেওয়াল টপকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলেন। ভিতর হতে মহিলার চিৎকার।
বাইরে বুড়ি বেচারা একা দাঁড়িয়ে। বাইরে টিম টিম করে আলো জ্বলছে। জাহাঙ্গীর বুড়িকে তাড়াতাড়ি আলো নেভাতে বললেন।
এরপর তিনি সেই শয়তানটাকে চুলের মুঠি ধরে তরবারি দিয়ে তার দেহ হতে মস্তক আলাদা করে ফেললেন। বুড়িকে আলো জালাতে বললেন।
তিনি আলোতে মাথাটা ধরে আলহামদুলিল্লাহ বলে মাথাটা ছেড়ে দিলেন। বুড়িকে বললেন আমাকে পানি দাও। তিনি পানি পান করলেন। বুড়িকে পরেরদিন রাজ দরবারে তার পুত্রবধু সহ আসতে বলে তিনি চলে গেলেন।
পরের দিন জমজমাট রাজদরবারে বুড়ি তার পুত্রবধু নিয়ে হাজির।
জাহাঙ্গীর বলছেন বুড়ি তোমাকে কেন আলো নেভাতে বলেছিলাম জান?
বুড়ি বললেন না।
জাহাঙ্গীর বললেন যখন তুমি আমার কাছে নালিশ করেছ তখন আমার চিন্তা হলো এ কাজ হয়ত আমার যুবক ছেলের। যেহেতু তুমি আমার বাড়ির এত কাছে বসবাস কর সুতরাং এত বড় সাহস আমার যুবক ছেলের ছাড়া আর কারো হতে পারে না বলে আমার ধারনা হয়েছিল।
আমি চিন্তা করলাম যদি আলোর সামনে আমার ছেলেকে দেখি তবে হয়ত আমার মনে দূর্বলতা এসে যেতে পারে। তাতে করে আমি ন্যায় বিচার নাও করতে পারি।
এজন্য তোমাকে আলো নেভাতে বলেছিলাম। এরপর তাকে হত্যা করে আলোতে নিয়ে দেখি সে আমার ছেলে নয়। এজন্য আলহামদুলিল্লাহ বলেছিলাম।
আর পানি পান করলাম এইজন্য যখন তুমি আমাকে বলেছ কিয়ামতের দিন তুমি আমার বিরুদ্ধে নালিশ করবে, তখন থেকে ন্যায় বিচার করতে পারব কিনা এই চিন্তায় আমি কিচ্ছু খাইনি এমনকি এক ফোটা পানিও না।
এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীর তার মাথার রাজ-মুকুট খুলে সেই অমুসলিম বুড়ির পায়ের নিকট রাখলেন এবং বললেন বুড়ি জেনে রাখ দিল্লির সম্রাটের এই মুকুটের চাইতে তোমার পুত্রবধুর ইজ্জত মুসলমানের কাছে হাজার গুন বেশি মুল্যবান।
বেশি মুল্যবান।
মুসলিমদের কাছে সর্বদা অমুসলিমদের অধিকার সংরক্ষিত ছিল। মুসলিমরা হলো সবচাইতে বেশি পরম সহিষ্ণু জাতি। যার প্রমাণ আমরা যুগে যুগে পেয়েছি।
ইন্দোনেশিয়া হতে মরক্কো পযর্ন্ত মুসলিমরা শাসন করেছে আটশত পঞ্চাশ বছর।
ভারতবর্ষকে শাসন করেছে প্রায় নয়শত বছর।
মুসলিমরা যদি পরধর্ম সহিষ্ণু জাতি না হতো তাহলে এখানে অমুসলিমদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না..............।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।