আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দরবানে পাহাড়ে ট্রেকিং করে তাজিংডং যাবার জন্যে আগ্রহী কেউ কি আছেন?

একদিন হয়তো তুমি পড়বে এই লেখা, তাই লিখি


এটা কোন ব্যবসায়িক ট্যুর নয়। সমমনা কয়েকজন, যারা দলবেধে পাহাড়ে ট্রেকিং করতে যেতে চান, কিন্তু যেহেতু এটা একা করা সম্ভব না, তাই তাদেরই মতো আরো কয়েকজন সমমনাকে খুজছেন, তাদের জন্যেই এই প্রস্তাব।

নিজেরা একটি দল তৈরি করে ট্রেকিং করে থানচি থেকে তাজিংডং হয়ে বগালেক হয়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসা। খরচ সবাই মিলে সমান ভাগ করে নেয়া হবে।

সময়সূচী: ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ট্যুরটি হবে।

এখনো তারিখ ঠিক হয়নি, তবে সব মিলিয়ে চারদিন পাচরাতের ট্যুর।

সম্ভাব্য ট্যূর প্লান: ঢাকা থেকে সোমবার রাতে টিম বাসে করে রওনা হবে। মঙ্গলবার ভোরে বান্দরবান শহরে পৌছে সকালের নাস্তা ও রিফ্রেশমেন্ট। সকাল নটার মধ্যে চাঁদের গাড়ি নিয়ে থানচির পথে যাত্রা শুরু। যাবার পথ বৌদ্ধমন্দির, শৈলপ্রপাত, নীলাচল, মেঘলা, চিম্বুক এবং নীলগিরি দেখে সন্ধ্যার মধ্যে থানচিতে পৌছা।

রাতে থানচিতে রাত যাপন।

বুধবার ভোরে গাইড নিয়ে তাজিংডং এর উদ্দেশ্যে হাটা শুরু। সাথে থাকা শুকনো খাবার দিয়ে দুপুরের খাওয়া। রাতে পাহারি গ্রামে থাকা এবং স্থানীয়ভাবে রান্না করে খাওয়া।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার হাটা শুরু।

দুপুরে শুকনো খাবার দিয়ে লাঞ্চ। সন্ধ্যার মধ্যে তাজিংডং বিজয় শেষে, ছবি টবি তুলে, কাছাকাছি গ্রামে রাতযাপন। রাতে বারবি কিউ এবং ফিস্ট।

শুক্রবার আবার হেটে বগালেকে আসা। সময় থাকলে পথে কেওকারাডং এ ঢু দেয়া।

না হলে সারাদিন বগালেকেএ অলস দিন কাটানো। দুপুরে ও রাতে পাহারি গ্রামে বনমোরগ দিয়ে খাবার।

শুক্রবার খুব ভোরে চাঁদের গাড়িতে করে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা। পথে রুমায় একটি ছোট্ট বিরতি। পথেই দুপুরে খেয়ে নেয়া।

বিকালের মধ্যে বান্দরবান এবং রাতের খাবার খেয়ে রাতের গাড়িতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
শনিবার সকালে ঢাকায়।

খরচ: জনপ্রতি সাত হাজার টাকা। এর কিছু কম/বেশি হতে পারে। মোট খরচ সবার মধ্যে ভাগাভাগি হবে।



ট্যুরের সদস্য: সব্বোর্চ্চ আট জন। নারীপুরুষে কোন ভেদাভেদ নাই।

শর্তাবলী: পাহাড়ে হাটার মতো শারিরিক সামর্থ্য থাকতে হবে। দলের সবার সাথে মিলেমিশে থাকা এবং কাজ করার মানসিকতা থাকা জরুরী। এটা কোন বিলাসবহুল ট্যুর নয়, সেখানে কোন স্টার সম্বলিত হোটেল নেই, কাঠের ঘরে, কাঠের মেঝেতে রাতে ঘুমাতে হতে পারে।

বাথরুমের ব্যবস্থা একেবারেই মৌলিক। খাবারের এবং রান্নার মান তেমন একটা ভালো হবে না। মোবাইলের নেটওয়ার্ক এবং ল্যাপটপ চালানোর বিদ্যুত পাওয়া যাবে না।

যা যা লাগবে: নিজের অবশ্যই একটি কেডস এবং একজোরা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, বা ট্রাইজার দরকার হবে। এছাড়া ছোট টর্চ, পানির বোতল, গরম কাপড় এবং একটি কম্বল লাগবে।



যোগাযোগের সর্বশেষ সময়: অবশ্যই ৩০ শে জানুয়ারীর মধ্যে নিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তিনহাজার টাকা টোকেন মানি দিতে হবে।

যোগাযোগ: Phone: 01765 010808

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।