শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র গতবার পেশাদার ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু দুপর্বেই মোহামেডানের কাছে হেরে অপরাজয়ের সুনামটি ধরে রাখতে পারেনি। এবার যে মুকুট ধরে রাখাটা কঠিন হবে সেই আভাস ভালোভাবে পাওয়া যাচ্ছে। গতবার যারা লিগে পরাজিত হয়েছিল মাত্র দুই ম্যাচ। এবার পাঁচ ম্যাচে এখুনি দুটো হারের গ্লানি নিতে হয়েছে বিপ্লবদের।
ব্রাদার্সের পর মুক্তিযোদ্ধার কাছেও শেখ রাসেলকে কাঁদতে হলো। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১-২ গোলে হেরে যায় গতবারের তিন ট্রফি জেতা দলটি। এ জয়ে মুক্তিযোদ্ধার ৭, শেখ রাসেলের ভাণ্ডারে ৯ পয়েন্টই পড়ে থাকল। আবাহনী ও শেখ জামালের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা বিপর্যস্ত ছিল। কিন্তু কাল তাদের খেলা দেখে মনেই হয়নি তারা আগের দুই ম্যাচে কোনো পয়েন্টই সংগ্রহ করতে পারেনি।
জয়ের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে মুক্তিযোদ্ধা। সেই ইঙ্গিতও পাওয়া যায় শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধার নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডদের নৈপুণ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৫ মিনিটেই তারা এগিয়ে যেতে পারত। এলিটা বেঞ্জামিনের থ্রো থেকে বঙ্রে ভেতর বল পেয়ে হেড করেন এলিটা কিংসলে। কিন্তু গোলরক্ষক বিপ্লব দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন।
২২ মিনিটে দলকে আর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি দেশসেরা এ গোলরক্ষকের। এনামুলের জোরালো শর্ট রাসেলের জালে জড়ালে মুক্তিরা এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠে এনামুল-এলিটরা। ৫০ মিনিটে ডিফেন্ডার সিরাজীর পাস থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লা শর্টে রাসেলের জালে বল পাঠান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড নকোচা কিংসলে। ৭৩ মিনেটেই ইউনিস রঙ্ ব্যবধান কমালেও শেখ রাসেলকে শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।