টেলিভিশনে দেখলাম সিরিয়ায় সর্বস্ব হারানো এক যুবক আর্তনাদ করে বলছে হোয়ার ইজ মুসলিম, সেভ আজ। কিন্তু কেউ তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসছেনা বরং হত্যা এবং ধ্বংসে মদদ দিচ্ছে সবাই। বাশার কর্তৃক ১১ হাজার বন্দী হত্যায় নিন্দা এবং উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে চলমান সংঘাতে বাশার কর্তৃক দুই লক্ষাধিক নাগরিক হত্যা, শহর, নগর, লোকালয়, জনপদ, স্থাপনা সভ্যতা ধ্বংসেও বেশ কয়েকবার একইভাবে তারা নিন্দা আর উদ্বেগ জানিয়েছে। কিন্তু এ হত্যা এবং ধ্বংস বন্ধের মুরোদ কারোর হয়নি।
মিশরে জেনারেল সিসি কর্তৃক অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল এবং প্রতিবাদী মানুষ হত্যায়ও কেউ কেউ মৃদু নিন্দা আর উদ্বেগ জানিয়েছে। বাংলাদেশেও সা¤প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনা এবং হত্যায় মৃদু থেকে তীব্র নিন্দাবাদ প্রকাশ করেছে অনেকে। এমনিভাবে পৃথিবীর যে প্রান্তেই নির্বিচারে হত্যা, ধ্বংস পরিচালিত হচ্ছে সেখানেই অসহায় মজলুমের একমাত্র প্রাপ্তি শুধু নিন্দা আর উদ্বেগের সান্তনা। আর এভাবেই একের পর এক হত্যাকারির আবির্ভাব ঘটছে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায়। ক্ষমতার জন্য তারা হত্যা এবং ধ্বংসের উন্নত্ততায় মেতে উঠেছে।
তারা ষ্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছে অমুক যদি লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করে টিকে থাকতে পারে এবং কেউ যদি তার একটি কেশও স্পর্ষ করতে না পারে তাহলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ মারতে আমার সমস্যা কোথায়? তাছাড়া নতুন বৈশ্বিক রাজনৈতিক মেরুকরনেরও সুযোগ নিচ্ছে এসব দুরাচার পাপাচারি শাসক স¤প্রদায়। পৃথিবী মার্কিন এবং রাশিয়া কেন্দ্রিক দুই মেরুতে বিভক্ত থাকার সুযোগ যেমন একসময় চতুর শাসকরা গ্রহণ করেছে তেমনি এখন আবার সেইরকম একটি সুযোগ স্পষ্টত ফিরে এসেছে । বেশ কিছুদিন মার্কিন নেতৃত্বে থাকা এককেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা এখন আবার বহুকেন্দ্রিকতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উত্থান তারপর পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া আবার নিজের র্পব গৌরব উদ্ধারের চেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি চীন ভারতসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটেছে।
ফলে আবার শুরু হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী লুটেরাদের অঞ্চল দখল আর ভাগাভাগির লড়াই। এর সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের এখনকার দুরাচারী ক্ষমতালিপ্সু লুটেরা শাসক শ্রেণি। তাই দিকে দিকে অসহায় মজলুমের জন্য এখন নিন্দা আর উদ্বেগের সান্তনা ছাড়া কিছু নেই। রাশিয়ার সাথে যে কারনে বাগড়ায় জড়িয়ে সিরিয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন উদ্যোগ থেমে গেছে একই কারনে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিনীরা ভারতের সাথে বড় আকারে কোন ঠান্ডা লড়াইয়ে যেতে চায়নি বলেই প্রতীয়মান। আর তাদের সেই সুদিনও আর নেই।
এটা অনেকে বুঝতে পারলেও এখানে যারা তাদের কৃপা পেতে দীর্ঘদিন ধরে পদলেহন করেছে তারা বুঝতে পারেনি বলেই স্পষ্টত প্রতীয়মান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।