নিহত মাহবুবুর রহমান রানা (২৮) ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনটির রমনা থানা কমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মগবাজার চৌরাস্তায় মসজিদ সংলগ্ন গলিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানাকে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে রানার পরিবারের দাবি। তার বাসা মগবাজারের পূর্ব নয়াটোলার চেয়ারম্যান গলিতে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রানাকে কোপানোর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
সেখানে দুটি হাতবোমা ও একটি রক্তমাখা রামদা পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রয়েছে।
রানার বন্ধু রিপন হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যায় মগবাজারের একটি ক্লাব থেকে তিনি এবং রানা দুটি মোটর সাইকেল নিয়ে বের হন।
“চৌরাস্তায় জ্যাম ছিল, রানার মোটর সাইকেল ছিল সামনে।
এসময় মাথায় হেলমেট পড়া এক যুবক রানা মাথায় কোপ দেয়। রানা মোটর সাইকেল থেকে পড়ে যায়। ”
ওই সময় পরপর দুটি হাতবোমা ফাটানো হয়। গুলির আওয়াজও শুনতে পান বলে রিপন দাবি করেন।
রানার গায়ে গুলির দাগ না থাকার কথা বলা হলে তিনি বলেন, “প্রথমেই পড়ে গিয়েছিল, তাই হয়ত শরীরে গুলি লাগেনি।
”
রানার ভাই মিঠুর সন্দেহ, তানভীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তানভীর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মাদক ব্যবসা করত। রানা তাকে বেশ কয়েকবার পুলিশে ধরিয়ে দেয়। ”
তানভীরকে আটক করলেও এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সব জানা যাবে বলে মিঠুর দাবি।
রানা রমনা থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন।
তিনি রমনা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।