আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মগবাজারে বাসার চাপায় প্রাণ হারাল এক দম্পতি

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

কর্মস্থলে যাওয়ার পথে লাশ হতে হলো এক দম্পতিকে। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে বলাকা পরিবহনের একটি বাস কেড়ে নিয়েছে সাইফুল হুদা (৩৬) ও তাঁর স্ত্রী শৈলী আক্তারের (২৮) প্রাণ। সাইফুল হুদা পান্থপথে এসিএল নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। শৈলী আক্তার ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন মগবাজার রেলক্রসিং সড়ক অবরোধ করে। তারা বিক্ষোভ করে ও বাসটি ভাঙচুর করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে শৈলী আক্তার তাঁর স্বামী সাইফুল হুদার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তাঁরা মগবাজার রেলক্রেসিংয়ের কাছে পৌঁছলে বলাকা পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে সাইফুল ওই বাসেরই নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

শৈলী আক্তার রাস্তার বাঁ দিকে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। বাসের চালক ও চালকের সহকারী পালিয়ে যান। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর করে। তারা বেশ কিছুক্ষণ ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করে। ফলে আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে রমনা থানা পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ শৈলী আক্তারকে নগরের হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানে বেলা দুইটায় তিনি মারা যান।

পুলিশ বলাকা পরিবহনের বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবলী নোমান প্রথম আলোকে জানান, এ ব্যাপারে মৃত শৈলী আক্তারের মামা এ এফ এম সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেছেন। চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। বিকেলে পুলিশ সাইফুল হুদা ও শৈলী আক্তারের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সাইফুল হুদার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লাবাড়িতে।

শৈলী আক্তারের গ্রামের বাড়ি খুলনায়। [ উপরে সংবাদটি দৈনিক প্রথম আলো'র অনলাইন থেকে সংগৃহিত] উক্ত সংবাদটি আমার আমার ব্লগে দেওয়ার কারন হল, এই বিষয়ে মাত্র দু'দিন আগে ‍"গন্তব্যে ফেরা" শিরোনামে আমি একটি ব্লগ লিখেছিলাম। একই কোম্পানীর গাড়ীতে করেও আমি সেদিন মৌচাকে যাচ্ছিলাম। এই বাসগুলোর ড্রাইভার কতটা জানুয়ার তার প্রমান পাওয়া গেল মাত্র দুদিনের মধ্যেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.