যে কোনো মুল্যে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চান আঁচল। এ জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত উঠতি এই নায়িকা। সম্প্রতি তার এক কাছের মানুষের কাছে এ মনোভাব ব্যক্ত করেন তিনি। আঁচলের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, এ কারণে বাছবিচার না করে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া থেকে শুরু করে ছোটখাটো দোকানপাট উদ্বোধনেও পিছপা হচ্ছেন না ’ডি’ গ্রেডের এ নায়িকা। যে কোনো কিছুর ডাক পেলেই বাছ বিচার না করে ছুটে চলছেন আঁচল।
এতে করে অন্যান্য সেলিব্রেটিদের ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা।
তারা বলেন, আজ ডাক দিলেই আঁচলকে পাওয়া যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় আগামীকাল টপক্লাসের কোনো সেলিব্রেটিকে যে ছোটখাট কাজের জন্য প্রস্তাব দেয়া হবে না তার গ্যারান্টি কি?
হালের অন্যতম সেনসেশন বেশ কয়েকজন উঠতি তারকা জানিয়েছেন, একজন সেলিব্রেটি যে কোনো কাজ বা শো-রুম উদ্বোধন করতেই পারেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু মান এবং অবস্থানটাও বিচার করা জরুরি।
অন্যথায়, এ কাজের জন্য আমাদেরকে মূল্য দিতে হতে পারে। কেউ কেউ অভিযোগের সুরে বলেছেন, হঠাত্ করে মিডিয়াতে চলে আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি। সত্যি কথা বলতে কি অভিনয়ের পাশাপাশি ফ্যামেলি ব্যাকগ্রাউন্ড, শিক্ষাটাও জরুরি। যদিও এটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার তারপরও সেলিব্রেটিদের স্বার্থেই বাছবিচার করে চলতে হয়।
২০১০ সালে ‘বেইলী রোড’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আঁচলের চিত্রজগতে আগমন।
দীর্ঘ সময়ে ক্যারিয়ারে কোনো উল্লেখযোাগ্য ছবি না পেলেও এখন তিনি নায়িকা পরিচয়ে যে কোনো ছোটখাটো অনুষ্ঠান বা তথাকথিত শোরুম উদ্বোধন করে যাচ্ছেন অবলীলায়। তার ঘনিষ্ঠজনদের কথায় এভাবে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এতে শুধু সর্বস্ব খোয়াতেই হয়। এ সত্যটি এখনো উপলদ্ধিতে না আসায় ভুল পথে চলেছেন আঁচল।
অথচ এর আগে এ কারণেনই একবার বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছিলেন এ নায়িকা।
চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে জুয়েল নামের ছোট মাপের এক চিত্র প্রযোজক তাকে বিয়ে করে ১২. ১২. ২০১২ তারিখে। বিয়ের পর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আঁচলের স্বামী। তাকে অনেকটা গৃহবন্দী রেখে শুধুই কাম-লালসা চরিতার্থ করেছেন ওই প্রযোজক। এক পর্যায়ে জুয়েলের ঘর থেকে পালিয়ে এসে ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল তাকে তালাক দেয় আঁচল। সেই সময় সমালোচকরা বলেন, এটি ছিল আঁচলের নববর্ষের উপহার।
এরপর থেকেই বেপোরোয়া আঁচল এখন যে কারো হাতছানি বা ইশারায় নির্বিঘ্নে সাড়া দিয়ে যাচ্ছেন নায়িকা হওয়ার অদম্য মোহে। এ ধারাবাহিকতা কত দিন বজায় থাকে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।