আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনটা অনেক খারাপ হয়ে আছে

............................................

২০১১ সালের কথা। জনৈক ব্লগারের সাথে আমার দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু আমি দেখা করলাম না। এরপর সেই ব্লগারের সাথে সেই যে সম্পর্কের অবনতি হলো তা আর কিছুতেই ঠিক হলো না। এর কিছুদিন পরই এক ব্লগারের সাথে আমার পরিচয় হলো।

সে আমাকে দেখা করার কথা বললো। আমি অতটা গুরুত্ব দিলাম না। মনে মনে করলাম, আর কারো সাথে দেখা করতে চাই না! যাই হোক, ঐ ব্লগার একদিন আমার ফোন নাম্বার নিলো। তারপর হঠাত একদিন রাত ১ টায় ফোন দিলো। কিন্তু তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম।

এর ফলে আর কথা হলো না।

তারপরদিন ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করে গ্রুপসহ কাজ নিয়ে বসছি, ঠিক এমন মুহূর্তে ফোন আসলো ঐ ব্লগারের! আমার ঐ ব্লগারের সাথে ফোনে আগে কখনো কথা হয়নি। শুধুমাত্র ফোন নাম্বার আদান প্রদান ছাড়া। আর আমরা আমাদের নামটা শুধু জানতাম। যাই হোক ফোনে সে বললো, হ্যালো চানাচুর বলছো?
আমি আঁতকে উঠে বললাম, হ্যাঁ!
তারপর সে বললো, আমি তো তোমার ক্যাম্পাসে আসছি।

তুমি কোথায়?
আমি বললাম, তুমি কোথায়? আমি তো প্রান্তিকের কাছাকাছি।
(আমি তাকে তখনও চিনতে পারিনি। বুঝতে পারছিলাম একজন ব্লগার, কিন্তু কে তা বুঝছিলাম না। তাকে তুমি করে বলছিলাম, সেটা ঠিক হচ্ছিলো না বোঝা সত্ত্বেও তুমি করেই বলছিলাম। আর সে এতো সুন্দর করে পরিচিত ভংগিতে কথা বলছিল যে আমার লজ্জা লাগছিল তাকে জিজ্ঞেস করতে যে সে কে।

আমি চুপ করে বোঝার চেষ্টা করছিলাম। প্রান্তিকে গিয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম কে হতে পারে যে হঠাত আমার সাথে দেখা করতে আসছে। )
এরপর ফোনের ওপাশ থেকে বললো, তুমি কি নীল জামা পরছো?
আমি এই কথা শুনে আরো থ! আমি বললাম, হ্যা
তখন সে আমার সামনে এসে বললো, এই যে আমি তোমার সামনে.. এদিকে তাকাও...

ভাগ্য ভালো ব্লগার খুশবুর ছবি আমি দেখেছিলাম নাহলে যে কি হতো। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছিলাম এটা ভেবে ও আমাকে না দেখে কি করে চিনতে পারলো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

খুশবুর ব্লগ পড়লে মনেহয় অসম্ভব রোমান্টিক একটা মেয়ে। আর ছবি দেখেও এমনটাই মনেহয়।

আমার তো ওকে একটু উগ্র-ও মনে হয়েছিলো একবার
কিন্তু সামনা সামনি দেখলাম চুপচাপ-শান্তশিষ্ট টাইপ!

আমার জীবনে দেখা প্রথশ ব্লগার হলো ব্লগার খূশবু!! এর আগে কখনো আমি চোখের সামনে কোনো ব্লগার দেখীনি

খুশবু তার দুই ফ্রেন্ড নিয়ে আসছিল। কিন্তু তারপরদিন সকালে প্রেজেন্টেশন ছিল বলে ঐদিন গ্রুপেও চাপ ছিল তাই ওদের সাথে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। তারপরে খুশবু-ও বোধহয় মাইন্ড করলো

আমি ইউনিতে মনের ভুলেও কাউকে কোনোদিন বলিনি আমি ব্লগিং করি। তবে ডেপ্টের এক ফ্রেন্ডকে দেখতাম প্রথম আলো ব্লগে ব্লগায়। একদিন অনেক চিপাচিপির পর বলতে হলো যে আমার নিক চানাচুর।

শুঁটকির সাথে যখন পরিচয় হয় তখন ও আমাকে বলেছিল ওর নিক। কিন্তু ওকেও আমি অনেকদিন পর অনেক চিপাচিপির পর বলেছি আসল নিক

ইউনিতে আমাদের ব্যাচের গ্রুপটাতে আমি সব বিষয়েই এতো মতামত প্রকাশ করতাম যে ব্লগেও এতো মতামত প্রকাশ করিনি কখনো। ওখানে মোটামুটি আমি সিরিয়াস ছিলাম। প্রায়ই ছেলেদেরকে ঠ্যাং ভেংগে হাতে ধরায় দিবো বলে মর্মান্তিক আচরণ করতাম। আমার এক ফ্রেন্ড মাঝেমাঝে আমি যাতে ধমকিয়ে যাই তাই দিতো।

কি যে প‌্যাকপ‌্যাকটা করতাম আমি এখন ভাবলে আমার নিজেরই অদ্ভুত লাগে আশ্চর্য ব্যাপার এতো লাফাতাম কেন তখন!!

ওখানেও সামুর বেশ কয়েকটা ব্লগারদেরকে পেলাম। প্রায়ই তাদের ব্লগে গিয়ে তাদের সাথে মজা নিয়ে আসতাম।
অনেককথা বলে ফেললাম। মনটা খারাপ সেইজন্যই বললাম। আমার মনটা আজকাল খুবই খারাপ লাগে একজনের কথা ভেবে।

সেটা হলো আমাদের "কস্কি" কাগু। সে জাহাঙ্গীরনগরের স্টুডেন্ট এটা আমি জানতাম। কোথায় যেন বলেছিলেন উনি এন্থ্রোতে ৩৯ তম ব্যাচের। আমি আর শুঁটকি মাছ তো ঠিকও করেছিলাম উনার ডেপ্টে গিয়ে উনাকে একদিন চমকে দিবো। আমি যেভাবে ব্লগিং করি আমাকে বের করা এতো সোজা না।

কিন্তু এতো লুকিয়ে থাকার পরও সেই লোক আমাকে খুঁজে বের করেছে এবং আমার আসল নামও জানে। অথচ আমি তাকে চিনিনা! কি আশ্চর্য পৃথিবী (দীর্ঘশ্বাস)




অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।