মঙ্গলবার দুবাইতে শুরু হতে যাওয়া আইসিসির সভায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির অন্য সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশের কাছে পরিবর্তিত খসড়া প্রস্তাব আনছে বলে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে সঙ্গে নিয়ে আইসিসির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ভারতীয় বোর্ড বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার খোলনলচে পাল্টে ফেলার প্রস্তাব আনলে এ নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়।
এই তিন দেশের প্রভাব বলয়ে থাকা ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির একটি ‘ওয়ার্কিং গ্রুপের’ তৈরি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে দুবাইয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এই প্রস্তাবে আইসিসির রাজস্ব বন্টন মডেল, প্রশাসনিক কাঠামো ও ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দেশকে টেস্ট খেলতে না দিয়ে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আইসিসি কন্টিনেন্টাল কাপে খেলানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কমপক্ষে আগামী চার বছর টেস্ট খেলার সুযোগ থাকবে না বাংলাদেশের।
ক্রিকইনফো জানায়, আগের প্রস্তাব থেকে দুই স্তরের টেস্ট ফরম্যাটে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে এ প্রস্তাবের বিপক্ষে এরই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীরা বিক্ষোভ করেছে।
আইসিসির সদস্য দেশগুলোর বোর্ডের প্রধানকে নিয়ে গড়া এক্সিকিউটিভ বোর্ড আর বিভিন্ন কমিটিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এক্সিকিউটিভ কমিটি (এক্সকো) নামে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এর স্থায়ী সদস্য হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
আর বাকি সাতটি দেশগুলোর থেকে আসবে এর চতুর্থ সদস্য।
এখন নতুন খসড়া প্রস্তাবে চারটির জায়গায় এক্সকোতে পাঁচ সদস্য রাখার কথা বলা হতে পারে।
পরিবর্তিত এই প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিতে এখন উদ্যোক্তা তিন বোর্ডের কর্মকর্তারা বিশেষে করে বিসিসিআই ছয়টি দেশের বোর্ডের উপর চাপ দিচ্ছে। বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার লোভও দেখানো হচ্ছে।
'বিগ থ্রি'-এর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরব ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা কেবল এর বাইরে আছে।
তিন মোড়েলের পরিকল্পনাগুলো এখন মোটা দাগে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জড়ো করা হয়েছে।
তিন দেশের প্রস্তাব পাশ হলে বিশ্ব ক্রিকেটে ক্ষমতার দু’টি স্তর তৈরি হবে। তিন দেশ থাকবে প্রধান আর অন্যদিকে থাকবে বাকি সাতটা দেশ।
খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের যতই খারাপ খেলুক তাদের দ্বিতীয় স্তরে অবনমন হবে না।
খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, বড় টুর্নামেন্টগুলোর বেশিরভাগই হবে ওই তিন দেশে।
তারা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পাবে। এক কথায় খসড়া প্রস্তাব পাশ হলে সব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের হাতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।