টেস্ট ক্রিকেটে ১৩ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। এই পথচলার শুরুটা হয়েছিল ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। ১৩ বছরের এই ইতিহাসের শুরুটা যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই আজ বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেট থেকে কিন্তু তাঁদের ওই শুরুর ওপর দাঁড়িয়েই নিরন্তর এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। প্রিয় পাঠক, আসুন, একবার চোখ বোলানো যাক টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বেশ কিছু ‘প্রথম’ ঘটনার দিকে:
টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম দল: শাহরিয়ার হোসেন, মেহরাব হোসেন, হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, আকরাম খান, নাঈমুর রহমান (অধিনায়ক), আল-শাহরিয়ার, খালেদ মাসুদ (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন, বিকাশ রঞ্জন দাশ।
প্রথম অধিনায়ক
নাঈমুর রহমান
টস
প্রথম টেস্টেই টসে জিতে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ
প্রথম রান
প্রথম রানটি এসেছিল শাহরিয়ার হোসেনের ব্যাট থেকে।
প্রথম উইকেট
ভারতের শিবশঙ্কর দাশকে বোল্ড করেছিলেন নাঈমুর রহমান
প্রথম বাউন্ডারি
শাহরিয়ার হোসেনের ব্যাট থেকেই আসে বাংলাদেশের প্রথম বাউন্ডারিটি
প্রথম ওভার বাউন্ডারি
আকরাম খানের ব্যাট থেকে আসে প্রথম ছক্কাটি।
বল হাতে প্রথম বোলার
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম বলটি করেছিলেন হাসিবুল হোসেন। অভিষেক টেস্টে তিনি প্রথম বলটি ছুড়েছিলেন ভারতের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শিবশঙ্কর দাশকে।
প্রথম ফিফটি
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম অর্ধশতকের মালিক হাবিবুল বাশার। অভিষেক টেস্টে ১৫৭ মিনিট ব্যাট করে ১১২ বলে তিনি করেছিলেন ৭১ রান।
তাঁর এই ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার।
প্রথম সেঞ্চুরি
অভিষেক টেস্টে আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রান। তিনি ছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় ক্রিকেটার, যিনি তাঁর দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। আমিনুলের ৫৩৫ মিনিটের দীর্ঘ এই ইনিংসে ছিল ১৭টি চারের মার। তিনি বল খেলেছিলেন ৩৮০টি।
প্রথম ৫ উইকেট
অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক নাঈমুর রহমান তাঁর অফ স্পিনে শিকার করেছিলেন ৬ উইকেট। এটি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের প্রথম পাঁচ বা এর অধিক উইকেট শিকার। ৪৪.৩ ওভার বল করে নাঈমুর ১৩২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ওভারপ্রতি তাঁর রান খরচের গড় ছিল ২.৯৬।
প্রথম জয়
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের মাটিতে ওই জয়টি এখনো পর্যন্ত দেশের মাটিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়।
প্রথম ১০০ উইকেট শিকার
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ১০০ উইকেট মোহাম্মদ রফিকের। সাকিব আল হাসান অবশ্য কিছুদিন আগে রফিকের এই রেকর্ড অতিক্রম করে গেছেন।
বৃষ্টির সাহায্য ছাড়া প্রথম ড্র
২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃষ্টির সাহায্য ছাড়া প্রথম কোনো টেস্ট ড্র করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ব্যক্তিগত হাজার রান
টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্যক্তিগত হাজার রান সংগ্রাহক হাবিবুল বাশার।
৫০ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩০.৮৭ গড়ে তাঁর সংগ্রহ ৩০২৬ রান। ২৪টি ফিফটির বিপরীতে তাঁর শতরান ৩টি।
প্রথম পেসার হিসেবে ৫ উইকেট
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম পেসার হিসেবে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন ৮১ রানের বিনিময়ে।
প্রথম ১০ উইকেট
২০০৫ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এনামুল হক জুনিয়র পেয়েছিলেন ১২ উইকেট।
ওটা এখনো পর্যন্ত টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ‘১০ উইকেট’ শিকারের কীর্তি।
প্রথম সিরিজ জয়: ২০০৫ সালে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০তে জিতে নেয় বাংলাদেশ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।