ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে হানাহানি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলঙ্ক!
বিপ্লবীর হাতে জ্বলন্ত মশাল
কপালে লাল ফেট্টি
বুকে আঁকা কাস্তে আর হাতুড়ি।
সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলানো ফেলানির লাশ
বিপ্লবীর রক্তে বুনে দিয়েছে বিদ্রোহের রক্তবীজ।
বিপ্লবী কেঁপে ওঠেন।
হায়নার কামড়ে ক্ষতবিক্ষত বিশ্বজিতের দেহ
বিপ্লবীর অন্তরে প্রজ্বলিত করেছে ক্রোধের আগুন।
বিপ্লবী তেঁতে ওঠেন।
ঘর্মক্লিষ্ট মুখবয়বে কুঞ্চিত চামড়ার
ঠেলাগাড়ি টানা অসীতপর বৃদ্ধ,
অথবা,
শ্রেণী সংঘাতের আঘাতে আঘাতে জর্জরিত
শিশু শ্রমিকের নিষ্পাপ মুখ-
বিপ্লবীর মস্তিষ্কে প্রোথিত করে উষ্মা।
বিপ্লবী জ্বলে ওঠেন।
বিপ্লবী নতজানু হন জটাধারী নীলকণ্ঠীর সম্মুখে
কম্পিত কণ্ঠে প্রার্থনা করেন- “ পথ দেখাও প্রভু!!”
স্বর্গীয় মলয়ে ভেসে বিপ্লবীর সামনে এসে পড়ে
স্বর্গীয় ক্রোড়পত্র।
তাতে লেখা-
“ তোমার ঈশ্বর এখন মহিষাসুরদের সহিত
ভায়রাভাইয়ের সম্বন্ধ পাতাইয়াছেন”!
কম্পিত দেহে, তেঁতে ওঠা অন্তরে, উষ্মায় পরিপূর্ণ মস্তিষ্কে
বিপ্লবী- ভাঙ্গের পাত্রে চুমুক দিয়ে চোখ বোজেন।
সামনে দায়িত্ব অনেক, তাকে হতে হবে নতুন নীলকণ্ঠ!
তারপর আসবে মহিষাসুরের ভায়রাভাইয়ের সমন্ধ পাতানোর
পরবর্তী প্রস্তাব!
পেছনে পড়ে থাকে ফেলানি আর বিশ্বজিতের খণ্ডিত মৃতদেহ
শ্রেণীসংঘাতের নানা অসমাপ্ত সমীকরণ,
ঐশ্বরিক সমীকরণ!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।