এনডিটিভিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২৩ জানুয়ারি ডেট্রয়েট থেকে করা ওই আবেদনে বলা হয়, “আমরা, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ হিসেবে মনে করছি, পপ কালচারের জগতে আমাদের ভুলভাবে পরিচিত হতে হচ্ছে। আমরা বিপজ্জনক, উচ্ছৃঙ্ক্ষল এবং মাদকাসক্ত জাস্টিন বিবারকে এই দেশ থেকে বিতারিত হতে দেখতে চাই। তিনি শুধু জনসাধারণের নিরাপত্তাকেই বিঘ্নিত করছেন না, আমাদের নতুন প্রজন্মের উপর ফেলছেন অশুভ প্রভাব। আমরা আমাদের সমাজ থেকে তাকে উচ্ছেদ করতে চাই। ”
হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে এরইমধ্যে ১ লাখেরও বেশি মানুষ আবেদনটিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন নাগরিকদের আবেদনের সুযোগ থাকে; ওইসব আবেদনে এক লাখের বেশি স্বাক্ষর জমা পড়লেই সেটি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষমান হিসেবে বিবেচিত হয়। সাম্প্রতিক আবেদনগুলোর মধ্যে এখন শীর্ষে রয়েছে তিনটি বিষয়। এর অন্যতম হল, জাস্টিন বিবারের অপসারণের দাবি। অন্য দুটি এডওয়ার্ড স্নোডেনকে ক্ষমা করা এবং মারিজুয়ানার ব্যবহারকে বৈধতা প্রদান করা।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ম্যাট লেহরিক বলেন, “প্রতিটি আবেদন, যেগুলো থ্রেশহোল্ড (এক লাখের বেশি স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা) অতিক্রম করে, সেগুলোকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে খতিয়ে দেখে এবং এর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
”
অবশ্য মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র জেইন সাকি জানান, সবসমই যে এ ধরনের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়, তা নয়। এসব ব্যাপারে ‘ব্যবস্থা নেওয়া’ বলতে অনেক সময়ই বোঝানো হয় যে, সরকার জনগণের দাবি সম্পর্কে অবহিত এবং যে কোনো বিষয়ে তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন।
টিন পপতারকা জাস্টিন বিবারকে সম্প্রতি মায়ামিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে হবে তাকে। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার এবং গ্রেপ্তারের সময় পুলিশকে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হবে তার বিরুদ্ধে।
কানাডার অন্টারিওতে জন্ম নেওয়া বিবার ১৫ বছর বয়স থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন শিল্পীদের জন্য দেশটির নবায়নযোগ্য ভিসা ব্যবহার করে। দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গ্রিন কার্ড এখনও পাননি তিনি।
মামলায় তার বিরূদ্ধে করা অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হলে, সেটি বিবারের ভিসায় কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারের ঘটনার পর এ ব্যাপারে বিবারের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য মেলেনি সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।