জীবনে চলতে-ফিরতে যেসব আইনি জটিলতায় পড়তে হয়, পাঠকের উকিল বিভাগে ১৫ দিন পর পর তারই সমাধান পাওয়া যাবে। পাঠকের উকিল বিভাগে আইনি সমস্যার সমাধান দেবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদ মাহতাব। স্পষ্ট করে নিজের সমস্যা লিখে পাঠান। প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি দিন।
খামের ওপর লিখুন: পাঠকের উকিল, নকশা, দৈনিক প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুলইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
এ ছাড়া naksha@prothom-alo.info এই ঠিকানায় ই-মেইল করেও সমস্যার কথা জানাতে পারেন।
আমি ২০০৭ সালে বিয়ে করি, তখন আমার স্ত্রী ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ জন্য আমার এক পরিচিত উকিলের পরামর্শ নিই। তিনি আমাকে জানান, এখন বিয়ে করলে বাল্যবিবাহ হবে, এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে বিয়ে নিবন্ধন হলে তা বাতিল হবে না।
যেহেতু বাতিল হবে না, তাই আমরা বিয়ে করি। এর পর থেকে আমরা গোপনে দাম্পত্য জীবনযাপন করতে থাকি। বছর দুয়েক পর বিষয়টি জানাজানি হয় এবং আমার স্ত্রীকে তার অভিভাবকেরা তালাক দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ২০০৯ সালে সে আমাকে একটি তালাকের নোটিশ পাঠায় ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি তালাকের নোটিশ নিয়ে আমার পরিচিত সেই উকিলের কাছে গেলে তিনি আমাকে বলেন, ‘কাবিনের ১৮ নম্বর কলামের শর্ত অনুযায়ী আপনার স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।
তাই আমি যদি রাজি না থাকি, তাহলে তালাক কার্যকর করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীকে তালাকের জন্য আদালতে মামলা করতে হবে। ’
আমার প্রশ্ন, আদৌ তালাক হয়েছে কি না? ভবিষ্যতে তার আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করার আইনি অধিকার আছে কি না? যেহেতু তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, তাই আমি এখনই আবার বিয়ে করতে পারি কি না?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
চিঠির তথ্য অনুযায়ী আপনার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করার অধিকার দেওয়া হয়নি। সুতরাং আইনিভাবে তিনি এখনো আপনার স্ত্রী। নির্ধারিত তালাকের নিয়ম অনুসারে বর্তমান স্ত্রীকে তালাক প্রদানের পর আপনি আবার বিয়ে করতে পারেন।
তবে আপনাকে আপনার স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর-ভরণপোষণ প্রদান করতে হবে।
আমি একটি মেয়েকে গত বছর মুঠোফোনের মাধ্যমে বিয়ে করি। বিয়ের সময় তার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর সাত মাস। বিয়েতে নির্দিষ্ট অংকের দেনমোহর ধার্য ছিল। কিন্তু এ বিয়ের খবর দুজনের পরিবারের কেউ জানে না।
বিয়ের কাগজ-কলমে কোনো প্রমাণ বা স্বাক্ষর আমাদের কাছে নেই। আমাদের যে বিয়ে হয়েছে, তা বৈধ নাকি অবৈধ?
আমিন
কক্সবাজার
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন ১৯২৯ অনুযায়ী ২১ বয়সের কম কোনো পুরুষ বা ১৮ বছরের কম কোনো নারীকে বিয়ে করাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া আপনার বিয়েতে কোনো সাক্ষী ছিল কি না, তা পরিষ্কার নয়। সাবালক অর্থাৎ ১৮ বছর পূর্ণ হলে আপনি মেয়েটিকে তার সম্মতিতে বিয়ে করতে পারেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।