সকালে গুম থেকে উঠেই নিজেকে উডতে থাকা পালকই মনে করেছিলাম। নিজেকে বড্ড বেশী অপরাধী মনে হচ্ছে। তবে কেন এমন হলো তা ঠিক বুঝতে পারছিনা। যেন কোথায় কি ভুল করেছি। যার মাশুল দেয়া সম্ববনা।
মাঝে মাঝে জীবন এতো কষ্ট লাগে আমার কাছে, তা প্রকাশের ভাষা বিন্দু মাত্রও নেই। তবে কষ্টের কারন ঠিক বুঝতে পারিনা। যেন কোথায় কি বড অপরাধ করেছি, সেই জন্য এত মায়া কাঁন্না।
তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত, আমি শুদ্ধ আছি। ,কোথায়ও কোন ভুল হইনি।
ভুল হলেও তা মা যোগ্য। তার পরেও কেন অপরাধী মনে হচ্ছে। আমি আল-হামদুলিল্লাহ সকল কাজই ভাবিয়া করি। তার পরেও নিজেকে সর্বনিকৃষ্ট পাপি মনে হয়।
তবে আমার চিন্তা-চেতনা মহৎ! কে আমাকে কি বলছে, আমি তার তোয়াক্কা করিনা।
আমি আমার পথেই এগিয়ে চলছি, নিজের মতোই করে। চলচিলাম, চলচি, চলবো আমার নিজের মতো করেই ইনশাল্লাহ।
খুব সম্ববত সমাজের মানুষদের কুসংস্কার দেখে আমাকে অপরাধী মনে হয়, নাকি অন্য কিছু?- কি জানি।
মাঝে মাঝে আমি হাঁটি, আবার থেমে থাকি- পেছনে তাকায় না আবার হাঁটি, আবার থামি, কি এমন কাজ আমাকে নাডা দেই, কোথায় আমার অজানা এক ভুল রয়ে গেলো। তার জন্য এত মায়া-কাঁন্না।
যেখানে চন্দের তালে নৃত্য হয়না, মাঝে মাঝে সেখানেই আমার বসবাস। কারন নৃত্য কখনো মায় তৈরি করতে পারেনা। আর মায়া থেকেইতো ভালোবাসার উৎপত্তি। কখনো আমি জাপানের ওয়াকিগহারা সুইসাইড ফরেস্টে বাস করি- যা কখনো আমি দেখিনাই, তবে স্বপ্নের মাঝে আমার অবস্থান, ওয়াকিগহারা সুইসাইড ফরেস্টের মতো।
আমার জীবনটাই ওয়াকিগহারা সইসাইড ফরেস্টের মতো, যেদিন আমি মনে করবো, পৃথিবীতে আর একটি মানুষেরও আমাকে প্রয়োজন হচ্ছেনা, সেদিন আমি এই পৃথিবী থেকে বিদায় জানিয়ে চলে যাবো।
তবে তার আগে আমি পৃথিবীতে রেখে যাবো, কয়েকটি ফুল, শুধু ফলের সৌরভটাই নিবে মানুষ, বাকিটা আমার কবরে ফেলে রাখবে। আমি চাইনা ফুলের সৌরভ আমার কবরে রেখে যাও, তাতে আমার কি লাভ হবে? আমি কখনো স্বপ্ন দেখিনা- আমার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করে, তিন মিনিট নীরবতা পালন করার। তাতে আমার কি লাভ হবে?- কি জানি।
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার জীবনটা বারমুডার ট্রায়াঙ্গালের মতো। অজানা কি এমন রহাস্য আমার মাঝে লুকিয়ে আছে, তা বিধাতাই জানে।
তবে তা সত্যে। আর সত্যেকার মানুষ আমি তখন, যেদিন খরার মাঝেও একটি হতভাগা মানুষ বলবে- এখনো ভুলিনাই তোমায়। তবে সে কেন ভুলেনাই তা বুক ফাটিয়ে বলতে পারবেনা। খুব সম্ববত লজ্জায় তার মুখটি লাল হয়ে যাবে তখন।
কেউ বলে এটা শীতকাল, কেউ বলে পিঠা-পুলির কাল, আমি মনে করি পাপ মুক্তির শেষকাল।
চার দিকে তাকিয়ে দেখেন কোন মানুষটা শান্তিতে আছে। কেউ আবার এক ফোঁটা খেজুরের রস পেলেই তার শান্তি, তবে সত্যেকার শান্তির বার্তা তার কাছে হয়তো পৌছেনি। তার জাতীয় ইসে্যু ুনিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। নাই কোন মতা হারানোর ভয়।
তার কোন সোস্যাল রিসপেক্ট হারানোর ভয় নেই।
খুজে একবার কি দেখেছেন, যাদের স্বজন জুডিশিয়াল কিলিং এর শিকার?
তাদের রাত কেমন যাচ্ছে, দিনটা কেমন যায়?
তা একজন খেজুরের রস চাষা কিভাবে জানবে?
একবার ভেবেছেন যারা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে, দ্যাট মিন্স- প্রবাসীরা কেমন আছে আজ? তারা হায়কমিশনে গেলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়?
তা একজন খেজুরের রস চাষা কিভাবে জানবে?
যেখানে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার শুন্য। যেখানে জোর করে কন্ঠ ছাডার মতো কোন মিডিয়া নেই। একের পর এক মিডিয়া কর্মীর উপর হামলা, তাদের মানবদিকার বলতে কিছু নেই। একের পর এক মিডিয়া বন্ধ। তার পরেও আপনি জানেন দেশের মানুষ শান্তিতে আছে।
তা একজন খেজুরের রস চাষা কিভাবে জানবে?
দিনের শেষে নাপিত থেকে শুরু করে জেলে, জেলে থেকে শুরু করে কামার এবং মুচি, মুচি থেকে শুরু করে একজন ব্যাংকার কে জিঙ্গেস করেন, কেউ ভালো নেই আজ। সময়টা শীতকাল, কালের দোহাই দিয়ে বাঙ্গালি আর কত খেজুরের রস খাবে?
আসলে আজ কেউ শান্তিতে নেই, আছে শুধু একজন খেজুরের রস চাষা।
নিকের জন্য রস বিক্রি করে পেটে দুমুঠো ভাত দিতে পারলেই হলো আর কি লাগে তার তখন? কিন্তু শীতকালের পর তার খেজুরের রসও চলে যাবে। এর পর হয়ত সে অন্য কিছু নিবে।
এই জন্য আমি বলি শীতকাল, পাপ মুক্তির শেষকাল।
নতুন করে জীবন গডার অঙ্গিকার নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু আমাদের খেজুরের রস চাষা তার খবর নেইনি, নিবেওনা।
কিন্তু আপনিতো খেজুরের রস চাষানা, যে শীতকাল আসলেই রসের খবর নিবেন?
কিন্তু আপনি একজন সচেতন মানুষ, আপনাকে সকাল-বিকাল-রাতের শেষ এবং রাতের শুরুতেই, যে কোন মুহুর্তে আপনাকে খবর রাখেতেই হবে। কোথায় কি গটছে, কেন, তার সমাধান আপনাকে খুজে বের করতেই হবে। গুমতন্ত্র, হত্যাতন্ত্র, একের মত আরেক জনের উপর চাপিয়ে দেয়ার তন্ত্র এবং প্রসাশন দিয়ে হয়রানি, এবং এটা বন্ধু হওয়ার যত রসদ দরকার, তা আপনাকেই করতে, কারন আপনিতো একজন দায়িত্বশীল নাগরিক, খেজুরের রস চাষার মতো শীতকাল আসার জন্য অপো করা আপনার কাজ নই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।