যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........
অনেক দিন চট্টগ্রামে বসে আছি! কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে ! এর মধ্যে এক সিনিয়র স্যার তার বাড়ি খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য দাওয়াত করলো যা কোনোভাবেই ফেলতে পারলাম না!! আসলে ফেলতে চাচ্ছিলাম না ।
পরের দিন মানে বৃহস্পতিবার টিকিট পেতে কষ্ট হয় তাই আগের দিন বি আর টি সিতে গিয়ে অগ্রিম টিকিট কেটে নিলাম । এসি টিকিটের দাম ২০০ টাকা।
যথারীতি পরের দিন ৩:৪৫ এ রওনা দিলাম ৩ বন্ধু!! পথে ভাবলাম ছবি তুলতে তুলতে যাবো কিন্তু পথেই যানজটের কারনে সন্ধ্যা হয়ে গেলো তাই আপনাদের কিছুই দেখাতে পারলাম না।
ও আচ্ছা আসল কথা বলে নেই আমাদের গন্তব্য কিন্তু খাগড়াছড়ি নয় তার থেকে ২০ কিমি পিছনে মাটিরাঙ্গা নামক বাঙ্গালী অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকা।
এখানে পাহাড়িদের সংখ্যা খুবই কম।
প্রায় ৫ ঘন্টা পর মাটিরাঙ্গা পৌছালাম যেখানে মাত্র ২:৩০ ঘন্টার রাস্তা। পৌছেই খাবার খেয়ে হাটতে বের হলাম । খুব শীতের কারনে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমরা তিন বন্ধু কেউ ব্রাশ নিয়ে আসিনি।
এখন কি করা আমাদের স্যারকে বললাম স্যার নিম গাছের দাল দেন দাঁত মাজবো। তিনি বলেন মাটিরাঙ্গা কলেজে চলো ওখানে ছাড়া আমার জানা মতে কোথাও নিম গাছ নেই।
যেয়ে দেখি অবাক কাণ্ড ৭/৮ জন অন্ধ ক্রিকেট খেলছে। সঙ্গে ক্যামেরা ছিলো না তাই ছবি তুলতে পারিনি।
মাটিরাঙ্গা কলেজের ছবি পরে তুলেছি!!
যাই হোক সকালের নাস্তা খেয়ে রোনা দিলাম আলু টিলার পথে।
আমাদের ভাগ্য ভালো স্যার আমাদের একটা মোটর সাইকেল ভাড়া করে দিলেন।
এখান থেকেই একটা মোটর সাইকেল নিলাম।
তিনজন এক মোটরসাইকেলে করে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর টের পেলাম বাইকে ব্রেক কাজ করছে না!! যাই হোক আস্তে আস্তে রওনা দিলাম।
পথে শীতের রুক্ষ প্রকৃতি!!
সুন্দর প্রকৃতিও আছে!!
আপনাদের জন্য এই রকম অনেক সেতু নির্মাণ করছে সরকার!!
সব রাস্তা কিন্তু এই রকম সোজা নয়।
চলতি পথে চেঙ্গি নদী ! শীতকাল তাই খুব একটা পানি নাই!!
অবশেষে আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে আলু টিলার সামনে পৌছালাম!!
ঢুকার গেট!!
ঢুকতে ৫টাকা লাগবে কিন্তু আমাদের ৩ জনের কাছ থেকে ৩ টাকা বেশী নিছে কারণ ভাংতি নাই!!
আপনি কি সাহসি!! তাইলে চলেন আলু টিলার গুহায় ঢুকি!!
গুহায় যাবার সময় এই রকম কিছু সিড়ি পাবেন নামতে মজা কিন্তু উঠতে খবর হয়ে যাবে!!
আপনারা যারা গুহায় ঢুকতে চান তাদের জন্য ছোট্ট একটা টিপস।
ডানের সিঁড়ি দিয়ে উঠে বামের সিড়ি দিয়ে নামার চেস্টা করবেন কারণ বামের সিড়ির পথ কম!!
গুহার মুখ!!
গুহার ভিতরের কিছু ছবি!!
গুহার ভিতর অবশ্যই আলো নিয়ে যেতে হবে!! আমরা অবশ্য মোবাইলের আলো দিয়ে কাজ সেরেছি কিন্তু আপনি চাইলে ১০টাকার বিনিময়ে টিকেট কাউন্টার থেকে মশাল নিতে পারবেন!
গুহার ভিতর থেকে বাহিরের আলো!! অসাধারণ মনে হচ্ছে!!
গুহার বন্দি জীবন থেকে বের হয়ে খোলা আকাশের দেখা!!
পাশে আলু টিলার উপরে বিশ্রাম ঘর!!
পাবনা থেকে আসা কিছু মফিজ টাইপের লোকদের লেখাপড়ার জন্য সেরা যায়গা এখানকার শৌচাগার!!
আলু টিলার উপর থেকে পুরো খাগড়াছড়ি শহর দেখতে পারবেন!!
আজ আর নয় সামনের পর্বে খাগড়াছড়ি শহর, রিসালাং ঝর্না এবং পুলিশের ঘুস খাওয়ার ছবি দেবো!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।