জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ঠ মুক্তি সেখানে অসম্ভব
বাঘাইছড়ির সহিংসতার জের ধরে খাগড়াছড়িতে মঙ্গলবার পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সকালে জেলা শহরে পাহাড়িদের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং বাঙালিদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ পাল্টাপাটি মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
শহরের শান্তিনিকেতন, কলেজপাড়া, মহাজনপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি দোকান ও ঘরেও আগুন দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. শাহরিয়ার খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংঘর্ষ থামাতে যথাসম্ভব পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সহিংসতার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের শাপলা চত্বর থেকে মিছিল বের করে ইউপিডিএফ। পরে ভাঙা ব্রিজ এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ আরেকটি মিছিল বের করলে সেখানে কিছু পাহাড়ি যুবকের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
মহাজনপাড়ায় একজন চাকমার মালিকানাধীন জেন টেক্সটাইল মিলে এবং তার পিছনের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন এনটিভি'র জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তালাত মামুন। এছাড়া দেশ টিভি'র খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি মংসাতু মারমার ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আহত সবার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে খাগড়াছড়ি।
তবে খুব ভোরে ঢাকা থেকে চারটি যাত্রীবাহী বাস খাগড়াছড়ি পৌঁছায়।
ভূমির অধিকার নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সেখানে সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়, পোড়ানো হয় শতাধিক ঘর।
দুই পাহাড়ির লাশ ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে, যারা সেনা সদস্যদের গুলিতে মারা গেছে বলে পাহাড়িদের অভিযোগ।
ওই ঘটনা তদন্তে সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ আলাদা স্মারকলিপিতে ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
সুত্র : বিডিনিউজ
আমার এক কলিগের বাসা খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়া।
তার বাসা থেকে বারবার কল করছে এবং বলছে তাদের পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলেছে কিছু বাংগালী সংগঠন। পুলিশ উপস্থিত কিন্তু নিস্ক্রিয় । শোনা যাচ্ছে কিছু পুলিশও তাদের সাহায্য করছে।
একটা একটা করে বাড়িঘর পোড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক বাড়িঘর পুড়ে গেছে। আটকা পড়ে গেছে শত শত পাহাড়ী।
প্রশাসন নিস্ক্রিয় কেন ?
ওরা কি আমাদের ভূখন্ডের বাইরে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।