উত্তরপ্রদেশের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী আজম খানের মন্ত্রীর মহিষ খুঁজতে বের হয়েছে তিন থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা কুকুর। গতকাল রবিবার দিনভর অভিযানের পর রাতে মন্ত্রী খোয়া যাওয়া সাতটি মহিষের মধ্যে চারটির উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু উদ্ধার হওয়া মহিষগুলো আজম খানের কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজম খান উত্তরপ্রদেশের কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর মধ্যে একজন। ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির প্রভাবশালী নেতা।
তাকে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সমীহ করে চলেন। মুজফ্ফরপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হোক বা বিধায়কদের বিদেশ ভ্রমণ সব বিষয়ে আজম খানের মন্তব্য শিরোনাম দখল করেছেন।
নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর অভিযোগ, শনিবার ভোররাতে তার খামারবাড়ি থেকে সাতটি মহিষ চুরি গেছে। চেনসহ মহিষগুলোকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই নাটকের সূত্রপাত।
রাজ্যে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতন, গোষ্ঠী সংঘর্ষ রোধ সংক্রান্ত ইস্যুতে একাধিকবার প্রশাসনের ভূমিকার ওপর আঙ্গুল উঠেছে। সেই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রীর মহিষ চুরির খবর পেতেই গোয়েন্দা পুলিশের বিশাল বাহিনী মন্ত্রীর খামারবাড়িতে হাজির। তল্লাশির জন্য তাদের সঙ্গে ছিল গোয়েন্দা পুলিশের কুকুরও।
রামপুরের পুলিশ সুপার সাধনা গোস্বামী বলেন, খামারবাড়ির সবক’টি মহিষ মন্ত্রীর নিজের। খামারবাড়ির পেছনে জঙ্গল রয়েছে।
মনে করা হচ্ছে মহিষগুলো চুরি করে চোরেরা জঙ্গল দিয়ে পালিয়েছে। মহিষের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। চুরির ৩৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর এদিন বিকেলে তিন থানা মিলে চারটি মহিষ উদ্ধার করেছে।
তবে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহল থেকে ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। আজেম খানের প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিং পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে বলেন, এখন মহিষ, এরপর ছাগল বেড়াল হারালে সেটাও তারা খুঁজবে।
তবে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করছেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী আজম খান।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।