আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরেশ বড়ুয়া এখন চীনে!

চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া বর্তমানে রুইলি নামের এক চীনা শহরে অবস্থান করছেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরেশ বড়ুয়া কিছু দিন একেবারেই লাপাত্তা থাকলেও সম্প্রতি রেডিওতে নিজের সহযোগী জ্যোতির্ময় ভারলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 'গত কয়েক মাসে নিজের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগই করছিলেন না। আগে মাঝেমধ্যে উলফার ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক আর সামাজিক অধিকারকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেন, ইদানীং তাও হচ্ছিল না। তবে কিছু দিন আগে হঠাৎ করেই পরেশ জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি জরুরি ব্যাগ উদ্ধারের খোঁজখবর নেন।

' বিডিনিউজ। ভারতের ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, পরেশের সেই ব্যাগে তার ব্যবহৃত কয়েকটি সিম কার্ড ও জরুরি কিছু ফোন নম্বর আছে বলে কথোপকথনে জানা যায়। সেই ব্যাগটি ছিল উলফা নেতা পার্থ গগৈয়ের কাছে, যিনি ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্দসমর্পণের পরিকল্পনা করার পর পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশে নিজের দলের কর্মীদের হাতে নিহত হন বলে ধারণা করা হয়। 'পরেশ বড়ুয়া খুবই উদ্বিগ্ন ভঙ্গিতে জ্যোতির্ময়কে বলছিলেন যাতে ফোন ডিরেক্টরি আর সিমগুলো নিরাপদে উদ্ধার করে আনা হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, জ্যোতির্ময় রেডিও কথোপকথনে পরেশকে বলেছেন যে গগৈয়ের কাছ থেকে ব্যাগটি উদ্ধার করে উত্তর মিয়ানমারে উলফার এক ঘাঁটিতে নিরাপদে পেঁৗছে দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, পরেশ এক বান্ধবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রায়ই মিয়ানমারের জঙ্গলে উলফা ঘাঁটি থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চীনের রুইলিতে যান। তার সেই বান্ধবী একজন ছদ্মবেশী চীনা গোয়েন্দা বলেই ভারতীয়দের সন্দেহ। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, পরেশের স্ত্রী ববি ও তাদের দুই সন্তান বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছেন। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটি ঘাটে ১০ ট্রাক সমপরিমাণ অস্ত্র আটক করে পুলিশ। পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনে তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে উলফার জন্য আনা হয়েছিল; বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এই চালান।

১০ বছর পর ওই মামলার রায়ে পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির, জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, বিএনপি নেতা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।