রানাকে সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে স্থানীয়রা চিনলেও যুবলীগ দাবি করেছে তিনি ওই পদে ছিলেন না।
“যেহেতু সোহেল রানাকে কেন্দ্র করে সাভার যুবলীগকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা অবসানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সিদ্ধান্তে সাভার থানা ও পৌর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো,” সোমবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, যুবলীগের গঠনতন্ত্রে কোনো পর্যায়ের কমিটিতেই সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলে কোনো পদ নেই। সাভার পৌর যুবলীগের কমিটিতেও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে সোহেল রানা নামে কেউ নেই।
“তাই এটা স্পষ্ট যে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা স্বঘোষিত পদ তৈরি করে যুবলীগের নাম ব্যবহার করে পোস্টার, ব্যানার করেছে তার ব্যক্তিগত স্বার্র্থসিদ্ধির জন্য।
”
সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয়ে কয়েক মাস আগেও সাভার এলাকা পোস্টারে ছেয়ে ফেলেন রানা, যাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের ছবি ছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুরাদ জংয়ের মদদেই মাদক চক্র নিয়ন্ত্রণ করে অর্থশালী হয়ে ওঠেন রানা; যদিও মুরাদ জং তা নাকচ করে আসছেন।
সোহেল রানা মালিকানাধীন রানা প্লাজা গত ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে প্রায় চারশ মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রোববার গ্রেপ্তার করা হয় রানাকে।
ফাটল ধরা ভবনে পোশাক শ্রমিকদের ঢুকিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া এবং ইমারত আইন লঙ্ঘন করে ভবন তৈরি করায় রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
“এই স্বঘোষিত যুবলীগ নেতা সোহেল রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা দাবি করছি,” বলা হয় যুবলীগের বিবৃতিতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।