বিশ্বের বিভিন্ন প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হওয়ায় মানুষের আয়ু বেড়েছে। এতে বেশিদিন বাঁচলেও মানুষের প্রতিদিনের সঙ্গী হচ্ছে রোগযন্ত্রণা ও শারীরিক অক্ষমতাসহ অন্যান্য মানসিক অশান্তি। একে এক ধরনের ‘বিধ্বংসী বিদ্রূপ’ বলে অভিহিত করেছেন গবেষকরা। পাঁচ বছর ধরে বিশ্বে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, চিকিৎসাশাস্ত্র ও ওষুধের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল ল্যানচেটে প্রকাশিত একটি সামগ্রিক মূল্যায়নমূলক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ক্রমেই বাড়তে থাকা অসুস্থ ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পরিচর্যার পিছনে বিশ্বের দেশগুলোর আর্থিক ও সামাজিক ব্যয়ও ক্রমে বেড়ে চলেছে।
এতে আরও দেখা যায়, রোগ ও মৃত্যুর কারণ হিসেবে অপুষ্টির অবস্থান অনেক নিচে নেমে গেছে বরং অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ রোগের কারণ হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে। রোগ ও মৃত্যুর কারণের মধ্যে ক্ষুধায় শিশুমৃত্যুকে তৃতীয় অবস্থানে সরিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ধূমপান ও মদ্যপান। গবেষণায় বলা হয়, ২০১০ সালে অতিরিক্ত শারীরিক ওজনের কারণে মারা গেছেন ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর তুলনায় এ হার তিনগুণ। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেসব রোগ যেগুলোতে মানুষ মারা যাচ্ছে না।
তবে অসুস্থ ও অক্ষম হয়ে পড়ছে। এসব রোগে মানুষ যন্ত্রণা ভোগ করছে। শারীরিকভাবে অক্ষম করে ফেলছে। দৃষ্টি, শ্রবণ ও পরিষ্কারভাবে চিন্তা করার শক্তি হারাচ্ছে। সূত্র বিডিনিউজ
‘দ্য গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ’ শীর্ষক গবেষণাটি পরিচালনা করে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)।
বিশ্বের ৫০টি দেশের ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের ৪৮০ জন গবেষক এতে অংশ নেন। এতে অর্থায়ন করে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
তথ্যসূত্রঃ দেশবিদেশ ডট কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।