রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমাতে পুলিশ ও শাসক লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যে সশস্ত্র তাণ্ডব চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় এখনো থামেনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে মামলা করেছে তাতে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী কোনো নেতাকে আসামি করা হয়নি। যারা সশস্ত্র তাণ্ডব চালিয়েছে, পর দিন সব জাতীয় দৈনিকে অস্ত্র হাতে তাদের ছবিও ছাপা হয়েছে। আগের দিন রাতেই বেসরকারি কোনো কোনো টিভি চ্যানেলে ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের 'বীরত্ব' দেখেছে দেশ-বিদেশের মানুষ। কাদের হাতে অস্ত্র ছিল তাদের নামও ছাপা হয়েছে, জানা গেছে।
তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, অপরাধীদের চিনতে এবং চিহ্নিত করতে কোনো ধরনের অসুবিধা না থাকা সত্ত্বেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা, জানা গেছে, আসামির তালিকায়ও তাদের নাম নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনটি কোনো জাতীয় রাজনৈতিক ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন ছিল না। তিন-চারগুণ বর্ধিত টিউশন ফি কমানো এবং স্নাতকোত্তর নৈশকোর্স বন্ধের দাবিতে এই আন্দোলন ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলন যৌক্তিক।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এমনকি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের অনেকের পরিবারে নুন আনতে পানতা ফুরায়। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার বর্ধিত খরচের চাপ বহন করতে ওই সব সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিবার অক্ষম। শিক্ষা রাষ্ট্রের কাছে জনগণের অধিকার। অতিরিক্ত শিক্ষাব্যয়ের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে_ যেমন করা হয় রাষ্ট্রের অন্যান্য খাতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশকোর্স শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের নামান্তর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত বেতনে শিক্ষকরা মর্যাদাসহকারে চলতে পারেন না, এটা ঠিক। এটা অবশ্যই রাষ্ট্রকে দেখতে হবে। রাতের বেলায় 'শিক্ষা বিক্রি'র দোকান খুলে এটা করা উচিত নয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ও অঙ্গীকার লঙ্ঘিত হয়।
উচ্চ শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাও ক্ষুণ্ন হয়। শিক্ষকরা অধিকতর জ্ঞান আহরণ ও গবেষণার কাজ বাদ দিয়ে বেশি বেতনের আশায় নৈশকোর্সের প্রতিই আসক্ত থাকেন বেশি। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়। শিক্ষার্থীদের এই ন্যায়সঙ্গত দাবি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সরকারি প্রয়াস খুবই নিন্দনীয়।
সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টার ও দায়িত্বশীল নেতারা এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রশিবিরকে যুক্ত করে একটি আদর্শ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এ থেকে এটা মনে করার কারণ থাকতেই পারে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলার পেছনে সরকার ও সরকারি দলেরও ইন্ধন থাকতে পারে। সরকার জানে, এ ধরনের স্ফুলিঙ্গ থেকেই অনেক সময় দাবানল সৃষ্টি হয়। তা না হলে হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই, তাদের আইনের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর এই প্রয়াস কেন? এ ঘটনা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হলো, সরকারের অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও জনগণের রুটি রুজি এবং জানমালের নিরাপত্তা বিধানের যে কোনো আন্দোলনকে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন বলে চেঁচামেচি করা সরকার পক্ষের একটা ক্রনিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে তেমন কিছু হলেও সরকার ও সরকারদলীয়দের কোনো কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের উদ্ধত আচরণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মাত্র কিছু দিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে এক ছাত্রলীগ নেতা পিটিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রনেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায়ও দেখা গেল দুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের জন্য সংগঠন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারই যথেষ্ট নয়।
কেননা, এসব বহিষ্কারাদেশ বেশি দিন স্থায়ী হতে দেখা যায় খুব কম। ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক যখন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়েরই অপর এক অনভিপ্রেত ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পরই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে ছাত্রলীগের একই শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কারের ক্ষেত্রেও এমন নজির পাওয়া যাবে। বিশেষ করে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের এমন ঘটনার সংখ্যা বেশি।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি বলে কথা নেই। এর কারণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা প্রথমে মনোনীত হন সরকারি পছন্দে। পাঠক, লক্ষ্য করবেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তাতে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকার পরিবর্তন হলে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী বদল হতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে রদবদল হতে পারে, কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসিসহ অন্যান্য পদে রদবদল কেন হবে? আমাদের দেশে এটা নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত যোগ্যতাহীনদের এসব পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এমন লোকদের ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের সারা শিক্ষকতা জীবনে কোনো প্রকাশনা নেই, গবেষণা নেই; আছে শুধু দলীয় বন্ধন। ফলে এরা থাকে সরকারের প্রতি অনুগত। অনেকটা দলীয় ক্যাডারের মতো আচরণ লক্ষ্য করা যায় তাদের মধ্যে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থকেই তারা অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসক দলের সমর্থক ছাত্র সংগঠনের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্বটাই যেন থাকে তাদের ওপর।
নির্দ্বিধায় বলা যায়, সরকারি দল তেমন চায় বলেই তারা সেই সেবা দিয়ে ধন্য হন এবং মনে করেন পদ-পদবিতে বহাল থাকতে হলে এটা না করে তার বা তাদের উপায় নেই। আবার অনেকে আছেন, শাসক দলের প্রভাবশালী ছাত্রনেতাদের নিয়ে গ্রুপিং করেন এবং তাদের মাধ্যমে তদবির ও চাপ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক পদসমূহ দখল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক্ষেপ' মারেন। শাসকদলীয় সংগঠনের ভয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কিছু বলতে পারে না। যখন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদী হয়, তখনই তাদের ওপর নেমে আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার মতো নিন্দনীয় ঘটনা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করতে হলে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসক লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলার ঘটনাকে ভিন্ন রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য এর দায় জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন সরকারের সর্বোচ্চ মহলের ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের বিভিন্ন সংগঠন। জাতি বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে এ নিয়ে মহান সংসদে অসত্য কাহিনীর বর্ণনা শুনে। আন্দোলনটি ছিল সম্পূর্ণই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের। তবে হ্যাঁ, এর সঙ্গে বাম-প্রগতিশীল কয়েকটি ছাত্র সংগঠনেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল।
এদের কেউ কেউ আবার বর্তমান লীগ সরকারের কোনো কোনো পার্টনারের সহযোগী দল। এটা সবাই জানে, এ দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে বাম-প্রগতিশীলরাই স্পষ্ট ও আদর্শগতভাবে সোচ্চার। এরা কখনো জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেনি_ না ক্ষমতার জন্য, না আন্দোলনের জন্য। তাদের অংশগ্রহণমূলক কোনো সমাবেশ-বিক্ষোভে শিবিরের লোক থাকবে বা তারা তাদের রাখবে এটা কল্পনা করা যায় না। অথচ তেমন একটা গল্পই এখন প্রচার করছে শাসক লীগের লোকজন।
হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরও তাদের আসামি না করে যাদের ওপর হামলা হলো সেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ভালো কথা। কিন্তু ওরা কেউ গ্রেফতার হবে কি?
ঘটনার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের স্ব স্ব স্বার্থ থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেখানে মাস্টার্সে নৈশকোর্স খুলে রমরমা 'শিক্ষা বেচার' পসরা সাজিয়ে বসেছিল।
টাকার আমদানি ছিল প্রচুর। শিক্ষকদের একটি অংশ ওই কোর্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মূল চাকরি বা দায়িত্বের প্রতি তাদের মনোযোগ নেই। যে সময়টা তারা নৈশকোর্স নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সে সময় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিতরণের জন্য তাদের অধিকতর জ্ঞান আহরণে নিবিষ্ট থাকার কথা, গবেষণার কাজে একাগ্রচিত্তে নিবেদিত থাকার কথা। কিন্তু অর্থের পিছে ছুটে তারা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করছেন।
এটা কোনো ন্যায্য কাজ নয়। ছাত্ররা এই কোর্স বাতিলের আন্দোলন করতেই পারে। স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে রাবি কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, জনমনে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে। বর্ধিত টিউশন ফি বাতিলসহ ছাত্রদের অন্যান্য দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে এবং তাতে ছাত্রলীগ আনন্দ-মিছিল বের করলে শিবির সেই মিছিলে হামলা চালিয়েছে বলে যে নাটক সরকার পক্ষ সাজাতে চাচ্ছে তাতে সরকার ভুল করছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ৫ জানুয়ারি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকার গঠন করলেও ক্ষমতাসীনরা স্বস্তিতে নেই।
কারণ তারাও জানেন, এটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৫৩ আসনে বিনা ভোটেই এমপি হয়ে গেছেন সরকারপক্ষীয়রা। ৫ তারিখে ১৪৭ আসনেও কেমন নির্বাচন হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতেও মন চায় না। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, এই নির্বাচন নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন শেষে সবার অংশগ্রহণমূলক মধ্যবর্তী নির্বাচন বা আগাম নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
এখন সেই অবস্থান থেকে তিনি সরে গেছেন। বলছেন, জনগণ নাকি তাদের পাঁচ বছরের জন্য ম্যান্ডেট দিয়েছে, তারা পাঁচ বছরই ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু বলাটা যত সহজ, বিষয়টি তত সহজ নয়, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী তা বোঝেন। তাই শুরু থেকে তিনি সতর্ক থাকতে চাইছেন বলে মনে হয়। বোধ হয় তিনি এমন একটা কঠোর মনোভঙ্গি নিয়েছেন, কোথাও এতটুক টুঁ-শব্দও করতে দেবেন না।
বিশেষ করে কোনো অবস্থাতেই ছাত্ররা যাতে গর্জে উঠতে না পারে। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে যে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল তাই প্রায় দাবানল হয়ে ওই সরকারের হাঁটু কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ওরা আর দাঁড়াতেই পারেনি সোজা হয়ে। এখন সব কিছু শান্ত শান্ত মনে হচ্ছে। রাজনীতিতে এমন গুমোট ভাব ভালো নয়।
তাই শুরু থেকে সব কিছু কঠোরভাবে, প্রয়োজনে নিষ্ঠুরভাবে হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে সরকার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মতো দাবি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। রাবির আন্দোলন যাতে সর্বত্র দাবানল হয়ে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য তা দমিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারও রাবির ঘটনার পেছনে ইন্ধন জোগাতে পারে বলে সাধারণের মধ্যে ধারণা জন্ম নিয়েছে। হামলাকারীদের পক্ষে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রকাশ্য অবস্থান তা-ই প্রমাণ করে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
ই-মেইল : kazi.shiraz@yahoo.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।