বিটিভির উন্নয়ন এবং সরকারের সফলতা তুলে ধরার পরবির্তে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ম. হামিদ ও উপ-মহাপরিচালক (নিউজ) বাহার উদ্দিন খেলন ব্যস্ত নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদেশ ভ্রমণ ও স্ত্রীদের প্রতিষ্ঠিত করা নিয়ে।
জানা গেছে, বিটিভির সংবাদ বিভাগের দায়িত্বে থেকে বাহার উদ্দিন খেলন চ্যানেল ৫২ নামে একটি স্যাটেলাইট টিভির অনুমতি নিয়েছেন। এতে তিনি এবং তার স্ত্রী খালেদা বাহার বিউটি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক পদে থেকে কোনো রকম ব্যবসা-বাণিজ্য করার নিয়ম নেই। কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানে কোনো পদে থাকারও নিয়ম নেই। কিন্তু তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বাগিয়ে নিয়েছেন নিজের নামে। একই সঙ্গে বিটিভিরও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। এ ছাড়াও তিনি আরও অনেক ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, চ্যানেল ৫২ নিজের নামে নিলেও অনুমোদন পাওয়ার পর এর একটা বড় শেয়ার তিনি বিক্রি করে দেন। এখানেও তিনি ব্যবসা করেন। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরের এফডিসি এবং বিটিভির ক্ষমতাভোগী ম. হামিদ গত বছরের শেষের দিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। গত পাঁচ বছরে তার স্ত্রী ফাল্গুনি হামিদ ছিলেন শিশু একাডেমির পরিচালক। এখন তিনি স্ত্রীকে মহিলা কোটায় সংসদ সদস্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ জন্য তিনি আওয়ামী লীগের অনেক নেতার কাছে ধরনা দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গত পাঁচ বছর ম. হামিদের ভাই খালিদ হোসেন সংসদ সদস্য থাকলেও দলীয় কর্মকাণ্ডে সাফল্য দেখাতে না পারায় এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। অন্যদিকে ম. হামিদ নিজে চেষ্টা করছেন বিটিভিতে তার পদে বহাল থাকতে। এ জন্যও তিনি নানাভাবে তদবির করে যাচ্ছেন সরকারের উপর মহলে। এদিকে সরকারের গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারের পক্ষে বিটিভিতে উল্লেখ করার মতো প্রচার-প্রচারণা না হওয়ায় খোদ সরকারের উপর মহল তার ওপর ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।