বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহমেদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সরকার যদি গুম-খুন বন্ধ না করে, তাহলে গুপ্তঘাতক ও চক্রান্তকারীদের উচ্ছেদ করতে ঐতিহাসিক প্রতিশোধ গ্রহণ করবে বিএনপি। তবে 'কী ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে' এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ কাজে লিপ্ত হয়েছে। এর পর ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর ক্ষমতায় টিকে থাকতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। বিনা বিচারে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের আটক করে রাখছে। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রিজভী আহমেদ বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিএনপি এগিয়ে থাকায় সরকার তাল হারিয়ে ফেলেছে। পরবর্তী দফা নির্বাচনগুলোতে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও সহিংসতা চালিয়েছে সরকারি দল। তিনি বলেন, আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফেনী, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ত্রিশাল ও নান্দাইল, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুমিল্লা, পাবনা, গাজীপুর জেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালানো হচ্ছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা হুমকি দিচ্ছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। তিনি বলেন, ১৯ মার্চ ফেনীর পৌর যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। অবিলম্বে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জেতার পর বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে, এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার, রিমান্ড ও হয়রানি করছে, তা বন্ধে সরকারের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট সরকারের আক্রমণের বিরুদ্ধে জনগণের নেতৃত্বদানকারী জাতীয়তাবাদী শক্তি প্রধান ও শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করছে। সরকারের নিপীড়ন মোকাবিলায় একমাত্র ধারালো অস্ত্র হচ্ছে সংগঠিত জনগণের সম্মিলিত বুলন্দ আওয়াজ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সব সময় কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। তারা বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করছে। দেশের মানুষ এ থেকে পরিত্রাণ চায় বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।