সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যদি সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়, তাহলে কীভাবে দেশে শিল্পায়ন হবে, অর্থনীতি সামনের দিকে এগোবে?”
রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ টেক্সাটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পদ্মাসেতু নির্মাণে রিজার্ভ থেকে অর্থ নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন।
তিনি বলেন, “পদ্মাসেতুর কার্যাদেশ দেয়ার সময় রিজার্ভ থেকে অর্থ নেয়ার প্রয়োজন হবে। এই কারণে ব্যবসায়ীদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে সহযোগিতা করা সম্ভব নয়। ”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব জাগপার আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নোমান বলেন, “আমরা মনে করি, সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
”
পদ্মাসেতু নির্মাণে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “ক্ষমতায় বসার পর এই সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। কিন্তু তাদের দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক এই সেতুর অর্থায়ন বাতিল করে দেয়। ফলে সেতুর সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভেঙে করবে। ”
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের পরও সরকার এই সেতু নির্মাণে নানারকম প্রচারণা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে নোমান বলেন, “আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু বন্ধুর নামে কোনো প্রভু চাই না।
“নির্বাচনের আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় এসে আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন, একটি দলকে সমর্থনের কথা বলেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ”
চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন দাবি করে নোমান বলেন, “আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার- সরকার যদি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেয়, তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে ওই দাবি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না।
”
‘৫ জানুয়ারি নির্বাচন: নিহত গণতন্ত্র ও মুমূর্ষু স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।