সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
অনেকদিন থেকে দেখে আসছি “নারীবাদী” রাইটার, বক্তা, কর্মী, সমাজসেবক ইত্যাদি ইত্যাদি নারীর অধীকার প্রতিষ্ঠার জন্য সভাসমাবেশে, টকশোতে, কলাম-কলমে ও মুখে ফেনা তুলে যাচ্ছেন।
“নারীবাদী” নামকরে এ কেমন কান্ডজ্ঞানের পরিচয় দেয়া হচ্ছে?
আমাদের মধ্যে অন্তত এটুকু বোধ থাকা উচিৎ যে, নারী ও পুরুষের প্রজাতী মূলত একই। আমরা উভয়ই মানব সম্প্রদায় হয়ে মহাবিশ্বের মানব আত্মারই প্রকাশ। আর মানুষের সৃষ্টিশীলতার অসীম শক্তি নিজের মধ্যে ধারন করতে জানে বলেই মানুষই সকল প্রকার সেরা এবং সেরা জীব। মানুষে মানুষে অধীকারের যে ঘাটতি আজ প্রবলরূপে প্রতিয়মান হয়ে ধীর তালে অগ্নিমূর্তী ধারণ করেছে- এর প্রধান কারন পৃথিবীর জনমানুষ বাসে সর্বাশেং মাছ শিকারের কারেন্ট জালের মতো জান্তে অজান্তে পেতে রাখা অসাম্য ও অমানবিকতা। এই অসাম্যের জন্য মুলত দায়ী মানুষ এবং মানুষের পুর্বপুরুষগণের কিছু কিছু করে ভুল সিদ্ধান্তর বিস্তার লাভ করা।
নারীবাদী বা নারীর অধীকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিছু মানুষের মানবতা প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশ্যে দোড় ঝাপ দিয়ে- এই অধীকারের কথা বলা অবশ্যই গর্বের ও কল্যান বিরোধী নয়। তবে সর্বমানুষের কল্যান বলেও একটা মহামূল্যবান বোধদয় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
খেয়াল করে দেখুন বন্ধু! এই যে নারীবাদী বা নারীর অধীকার প্রতিষ্ঠার লড়াই কথাটা দ্বারা নিরাপেক্ষ মনোভাবের প্রকাশ ঘটানো সম্ভব না। এরচেয়ে সাম্যবাদের কোনো শাখা উপশাখা বেয়ে যদি নারীবাদী কথাটির একটি রূপরেখা কখনও নির্ধারন করা যায় তখন না হয় কোনো স্পেশালিটির জন্য নারীবাদী ব্যবহার কিছুটা সার্থকতার ছোঁয়া পেতে পারে।
আমরা বার বার বলতে শুনি “নারী মায়ের জাত”।
এ কথাটি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশ্যে ডায়ালোগ হবার কোনোভাবেই যোগ্য নয়। মানবজাতির কেউ শিশু হযে যখন এই বিশ্ব-ভুমন্ডলে আকাশ বাতাস কাঁপানো কান্না ভরে খুশি ছড়িয়ে আগমন করেন তখন তাকে মায়ের শরীরের ভিতর থেকেই আসতে হয় –এই বিধান মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের। মানুষ আসার এই নিয়ম চিরন্তন সত্য ও স্বাভাবিক। তাতে যদি পৃথিবীর সকল জীবিত মানুষ একসাথে সমস্বরে এই মায়ের গর্ভ থেকে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনকে অস্বীকার করে বসে তাতেও বিধীর বিধান মিথ্যে হয়ে যাবে না। আমরা বেশ ভালো করেই বুঝি ও দেখি যে, মা ও বাবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই আল্লাহ্ আমাদের পৃথিবীতে মায়ের শরীরের ভিতর থেকেই পৃথিবীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের যেমন করে পাঠিয়েছেন ঠিক আমরাও একই ভাবে এসেছি, পরবর্তী সকল প্রজন্মকে এই স্রষ্টার বিধানের দ্বারাই ভুমিষ্ট হতে হবে।
এখন পর্যন্ত যিষু খৃষ্টের বেলায় সামান্য খানিকটা ব্যাতিক্রম দেখা যায়- সেখানে মহামাতা মেরী অলৌকিক বির্য্যের মাধ্যমে স্বাভাবিক নিয়মেই যিষুকে জন্ম দিয়েই পৃথিবীতে আনতে হয়।
নারী পুরুষের মধ্যে খুব স্বাভাবিক যে পার্থক্যটি দৃষ্টিগোচর হয় তা হলো শারীরীক আকৃতির সামান্য ব্যবধান মাত্র। প্রধানত লিঙ্গগত পার্থক্য। তাই বলে পুরুষ নারীর খাবার প্রহন, হাত, পা, চুল, নাক, চোখ, ভ্রু, আঙ্গুল, প্রভুতি এবং শরীরের অভ্যন্তরিন হাড়-গোর, রক্ত-মাংস, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, শিরা-উপশিরা, পেশী শক্তি খুব সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে যা ধরার মধ্যে পড়ে না। ব্রেনের বেলায় তো কোনো প্রকার বৈশম্যর প্রশ্নই আসে না।
মানব আত্মা নারী পুরুষ হয় না। তবে সেক্চুয়াল, নারীর শারীরিক কিছু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার সাথে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারগুলো মানব মস্তিস্ক শিখে ফেলে। তাই বলে নারীরা মোটেও দুর্বল নয় কিন্তু। আফটার অল বলা চলে যে, নারী পুরুষের মধ্যে এত এত এত বেশী সাদৃশ্য যে তাতে বৈশাদৃশ্য যা আছে তা খুব ছোট খাট ভাবেই মেনে নেয়া দরকার। শুধু একপক্ষের না বরং দু’পক্ষ’কে দুরে ঠেলে দিয়ে একপক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
এই হিজরা, নারী, পুরুষের মন যে মানুষের পরিচয় সেটাই হলো সাম্যবাদের প্রথম কথা। নারী-পুরুষের মতো করে সব মাখলুকতের মধ্যে দুই লিঙ্গ বিদ্যমান। আমরা শাক-সবজী খাবার গ্রহনের সময় ভাবি না যে, কোনটা পুরুষ শাক আর কোনটা নারী শাকপাতা। তাহলে নারী-পুরুষ নিয়ে এতো এতো মুখরোচক বিতর্ক করে সময় নষ্ট কেনো?
আমরা জানি কিন্তু বোঝার চেষ্টা করি না যে, এই বিতর্কের পিছনে বহুকালের বহুকারণ আমি অকপটে বর্ণনা করতে পারি। কিন্তু তাতে তো শুধু মানব প্রজাতির গ্লানিই বাড়বে বৈকি কমবে না।
থাক না সে বিতর্ক। যা গেছে গেছে। যা হয়েছে তা ভুল। যে অবস্থায় আছি সেটা সত্য। ঠিক এই মূহুর্ত থেকে আমরা অকাজের ঝগড়া-ঝাটি, ফালতু বিতর্ক ফেলে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগোতে দোষ কোথায় বলুন বন্ধু! তারচেয়ে বরং সতর্ক ভাবে এই অমানবিক বৈশম্য রোধ করার জন্য কাজ করে মানবতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় এখন থেকে সবাই ব্রতী হয়ে উঠি বা শ্বপথ নিলাম।
একজন গভীর সত্যদ্রষ্টা পুরুষ কখনও নারীকে ছোট করে দেখেন নি, দেখেন না এবং কোনো কালে দেখবেনও না ঠিক নারীর ক্ষেত্রেও এই কথা সমভাবে প্রযোজ্য।
যে সব পুরুষ নারীকে অপমান, অবমাননা, তুচ্ছজ্ঞান, অবজ্ঞা ও অত্যাচার করেন তারা মূলত পক্ষে পুরুষ নামধারী কাপুরুষ।
আবার যে সকল নারী- “নারী অধীকার” প্রতিষ্ঠার নামে সত্যদ্রষ্টা মহাপুরুষের জীবনীতে কলঙ্কের তীল পড়াতে চায় সে সকল নারীও যে নারীর আকৃতিতে প্রকাশিত বদনারী বা বদমানুষী ছাড়া কিচ্ছু না।
পুরুষ যেমন তার মেধাকে জ্ঞান-সাধনা-সত্য-তপস্যা দ্বারা যত দুরে নিয়ে যেতে পারে তদ্রুপ নারীও তার মেধা খাটিয়ে সমান দুরত্ব অতিক্রম করার সকল প্রকার যোগ্যতা রাখেন। এখানে মনে রাখতে হবে নারী কিংবা পুরুষ বলে কে জ্ঞান রাজ্যে ডুব দিয়ে সত্য সাধনে মনযোগী হলো তা বড় কথা নয় বরং বড় কথা হল মানুষের হৃদয়, রুহু, দিল, মন, মাইন্ড বা আত্মা জ্ঞান আহরন করে চরম সাধনা দ্বারা ঊর্ধোলোকে বিচরন করতে কোনো প্রকার অসুবিধা বা বাধা কোনভাবেই নাই।
এতোদিন ধরে মানবসৃষ্ট নারীর প্রতি অনেক অবিচার করার ফলে তাদের মনে যে দুর্বলতা তৈরি হয়ে আছে, তাই এই সত্য ও সুন্দর পথের অভিযাত্রায় শারীরিক ও মানুষিক সামান্য বাধা প্রথম দিকে একটু-সামান্য অসুবিধা হয়তো সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু এই অসুবিধা ধরতির মধ্যে পড়ে না। আমরা কে নারী, কে পুরুষ বা কে হিজরা আকৃতি নিয়ে এসেছি এটা খুব বড় বিষয় না আসল বড় বিষয় হলো আমাদের সবার শরীরে গরম টকটকে রাঙা খুন প্রবাহিত হওয়া সমহৃদয় ধারণ করা মানুষ। আমাদের সবার খুব সুন্দর একটি মন আছে।
আমাদের এই মানবজনম ধন্য করতে অবেধ সাম্য কে শুধু স্বীকার করলেই চলবে না তারচেয়ে বেশী করতে হবে সাম্য-সুন্দর কে প্রতিষ্ঠিত করার সাধনা। এজন্য মানবমনের মানবোতা-সাম্য বোধ কে জাগাতে হবে।
শীর উচু করে সবাই আজ থেকে বলবেন, কে নারী, কে পুরুষ বা কে হিজরা আমরা সবাই মানুষ। ভাইসব, এই মানবমনের মুক্তিই পারে আমাদের মৃত্যুহীন জীবন উপহার দিতে। যে শক্তির কোনো বিনাশ নাই, ক্ষয় নাই, শুধু শান্তি আছে।
তাই বলে আমি কিন্তু একবারের জন্যও এই মুহুর্তে অস্বীকার করার মতো কোনো মুখ নেই যে, বিগত দীর্ঘকালের পৃথিবীর ইতিহাসের আয়নায় তাকালে এই সামান্য পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় যে, নারীর প্রতি অনেক বেশী অত্যাচার, জুলুম, অন্যায়, অন্যায্যতা, অবমাননা ও যত্র তত্র কুকুরের মতো করে রেপ করা হয়েছে এবং আজও হচ্ছে। এই নারীর প্রতি জুলুম ও অত্যাচারের প্রতিবাদ পূর্বক সমঅধীকারের চেয়েও বড় কথা সব মানব আত্মাকে মানব জ্ঞানের আধার খুলে দিতে যে সব সত্যদ্রষ্টা ত্যাগী মহামানবদের আবির্ভাব হয়েছে তাদের সকলেই কিন্ত তৌহিদের বাণীর মাধ্যমে এবং নিজেদের দেখানো দৃষ্টান্তে বিন্দুমাত্র নারী-পুরুষের সমতার বিপরিত কিছু বলেন নি।
আপনারা বিশ্বের সকল প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্হের অবিকৃত রূপ খুলে আমাকে একটিও প্রমান যোগার করে দিতে পারবেন না।
শুধুমাত্র অর্থলোভী, ক্ষমতালোভী, কুটিল, বিকৃত রুচির ও জুলুমবাজ কিছুসংখ্যক কাফের ও বর্বর মানুষের জন্যই নারীকে ছোট জ্ঞানে দেখা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এই সব অসুর-দানব-কাফেররা যে শুধুমাত্র পুরুষের মধ্যেই ছিলো তা নয় এর মধ্যে অনেক দানবী-মায়াবীও দেখতে পাওয়া যায়।
মনে রাখতে হবে মানবতা বিরোধী মানুষ পুরুষ আর নারী যাই হোক না কেনো তাদের জাত কিন্তু অজাত বা কুজাত।
বাঙালীর সন্তান তাছলিমা নাসরিন তার একটি লেখায় খুব জ্ঞানী জ্ঞানী ভাবে রুশদ ইবনে কাজী সাহেবের হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে মোহাম্মদী দ্বীন ইসলামের প্রতি আঙ্গুল তুলে কথা বলেছিলেন।
হাদিসটি হলো “ইসলামে দু’ধরনের নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করা জায়েজ, বিবাহীত স্ত্রী আর কৃতদাসীর সাথে”।
তাছলিমা নাছরিন আপনার ব্যাথা আমি বুঝি তাই আপনাকে বলছি- হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবনীতে কোথাও পাবেন না যে তিনি তার স্ত্রী ব্যাতিত কোনো কৃতদাসির সাথে কোনো প্রকার সহবাস তো অনেক দুরের ব্যাপার সম্মানও দিতে কার্পন্য করেছেন। মহানবী (স) এর ইসলামকে নবী উফাতের পরে অনেক ভাবে বিতর্কীত করার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাও শুধুমাত্র স্বার্থলোভী, ক্ষমতালোভী, অসভ্য, বর্বর ও বেইমান-মোনাফেক পশুবৃত্তিয় মানুষের নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য। তাই-তো মোহাম্মদ (স) এর আখলাখের উপর বার বার কালীমা লেপন করার চেষ্টা করেছেন বহু পশুবৃত্তিয় মানুষ। ইসলাম সাম্যের ধর্ম।
নারী-পুরুষ নয় ইসলাম সকল মানুষের সম অধীকারে বিশ্বাস করার আদেশ প্রদান করে। সেখানে নারী অপমানের প্রশ্ন কোনো ভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না।
যেমন দেখুন মোহাম্মদ (স) দাসপ্রথার একদম বিপরীতে অবস্থান করে দাসদের মুক্তকরে পূর্ণ মানুষ হিসাবে মানবসৃষ্ট জটকে পায়ে ঠেলে সব মানুষের সম অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা শুধু কথায় নয় কাজেও দেখিয়েছেন, আমরা তা জানি। যেখানে আল্লাহ্র বানী দাস প্রথারই সমর্থন করে না সেখানে কৃতদাসীর সাথে সেক্স করাকে জায়েজ করে কিভাবে বলুন আমাকে? এই মিথ্যে হাদিস সমূহ যদি আমরা ছুড়ে ফেলে দিতে না জানি তাহলে তো আমরা আর যাই হই না কেনো অন্তত মুসলীম শান্তি আদর্শের তৌহিদে বিশ্বাসী নই অর্থাৎ কাফের বা নন-মুসলিম। তাই নারিবাদি নাম করে বার বার যারা ধর্মের উপর মিথ্যে অপবাদ চাপানোর চেষ্টা করেন তাদের আমি আহ্বান করবো আপনারা এ সকল ক্রটিপূর্ণ মোহাম্মদী দ্বিনের বিকৃতির হাদিস সমূহ খুঁজে বেড় করে, প্রকাশ না করে বরং বিনষ্ট করার পথে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে আসুন।
তাতে করে কোনো মুমিন মুসলমান আপনাদের অসমর্থন করবেন না কিংবা অসমর্থন করার চেষ্টাও যদি কেউ করে থাকেন তাহলে তিনি তো আর মুমিন মুলমানের মধ্যেই থাকলেন না।
এখানে উল্লেখ্য যে, অনেক নারীবাদী লেখক- নারীবাদী সমাজ সেবক শুধুমাত্র দ্রুত সস্তা পপুলারিটি অথবা পাঠক-ভক্ত-ফ্যান বাড়িয়ে টাকা, মিথ্যে যশ, মিথ্যে প্রতিপত্তি তৈরি করা বা মিডিয়ায় ঝড় তুলে নিজেকে সেলিব্রেটি বানানোর মুখ্য হাতিয়ার হিসাবে ধর্মের মত সহনশীল শান্তি-সত্যকে টেনে হিচরে নিজেদের কাছে বাজে ভাবে নিয়ে গিয়ে নারীর শত্রু বানাতে পর্যন্ত কার্পন্য বোধ করেন নি তাতে করে উক্ত ব্যাক্তি বর্গের জনপ্রিয়তাই নয় বরং বার বার মিডিয়ায় নাম ফুটিয়ে অসুবিধা হয়েছে অনেক বেশী। “লজ্জা” বইটির চেয়েও তাছলিমা নাছরিনের “শোধ” বইটি অনেক বেশী ইমমেচিউরড। এখানে একটি সাধারণ মানের গল্প পড়ে একজন সরলমনা নারী কিংবা স্বল্পজ্ঞানী ছেলে অত শত গভীর কিছু না ভেবেই ভুল পথে পা বাড়ানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তাই এই সব বিষয় লিখতে হলে অল্পবোদ্ধা বা সামান্য শিক্ষা জ্ঞানের পাঠকদের কথা বিবেচনা করতে হয়।
তাই আমি বিনীত চিত্তে ঐ সব টাইপের অবুঝদের এবং তার সাথে রাস্ট্রের কর্তাব্যাক্তিদের বলবো এই সব বই সরাসরী নিষিদ্ধ না করে বরং লখকদের বিবেকের তির্জকতা-ঝাঁঝ ব্যবহার করে রি-কারেকশনের সুযোগ দেয়া ভালো। এমনি করলে, লখকেরও অসম্মান হবে না আবার শুধু একডামেনশনে গভীর বিশ্লষন বিহীন সত্যকে বুকে ও মননে নিয়ে আমাদের কোলমতি তরুন-যুবক-যুবতীদের বিপথে যাবার ভয় থাকবে অনেক অনেক কম।
যাই হোক, রাধা-কৃষ্ণের প্রেমগাঁথা হলো জগত বিখ্যাত। এই যুগলের প্রেম কাহিনী, প্রেমের ভাব, প্রেমের লিলা এমনকি প্রেমের রূপক হিসেবেও অনেক সংগীত রচিত হয়েছে যা বিশ্ব সম্পদ। রাধা কৃষ্ণের প্রেমকে পুজা করা হয়।
এখনে প্রধান প্রশ্ন হলো যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাধার সাথে প্রেম করে কি রাধাকে করুনা করেছেন নাকি রাধা কৃষ্ণের হৃদয় জয় করেছে শুধুমাত্র ভগবানকে পাবার আশায়? এই প্রশ্ন আসলে যুক্তিহীন। দেখুন শ্রীকৃষ্ণকে বাঁশি বাজাতে যে রাধার প্রেম বাধ্য করেছে সেই রাধা কি সামান্য কেউ? আবার যে কৃষ্ণ রাধার প্রেমকে একমাত্র উদ্দেশ্য ভেবে কংস বধ করায় ব্রতি হলেন সেই কৃষ্ণও কি সাধারণ কেই? প্রেমের টান এমন শক্ত বাঁধন যে, একমাত্র ঈশ্বর সত্য বিশ্বাসের প্রেমের মধ্যেই মানব আত্মার অসীম ক্ষমতাকে তার প্রিয় সেরা সৃষ্টি মানুষের মধ্যে সর্বচ্চ রূপে জাগ্রত করে প্রেমের পক্ষে স্রষ্টার অবস্থান কে দেখিয়ে দেন। প্রেম সত্য, প্রেম সুন্দর, প্রেম অক্ষয়, প্রেম মুক্তি, প্রেম জ্ঞান, প্রেম শক্তির থেকেও মহাশক্তিধর তেজী বিচরন।
খাদিজাতুল কোবরা আমাদের প্রিয় মোহাম্মদ (স) এর প্রেমিকা ও বধু। খাদিজা অনেক বেশী বিচক্ষন একজন অতিমানবি তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহের অবকাশ নেই।
সেই আমার পেয়ারা নবী (স) এর প্রিয়তমা-বধুকে নিয়েও মিথ্যাচার কম হয়নি। যিনি মোহাম্মদ (স) দ্বীন কে কবুল করে মুমিন মুমিন মুসলমান হয়েছেন তো বটেই তার সাথে আল্লাহ্’র রাসুল প্রান প্রিয় প্রিয়তমা-বধু বিভিন্ন হাদিসে তাঁকে কিকরে এতো বেশী পাপীর মতো করে উপস্থাপিত কারা করেছেন। কোন রাজবশং করেছেন তা নিশ্চই ইসলাম পরবর্তি যে অন্ধকার যুগ এসেছিলো সে ইতিহাস যারা জানেন তাঁরা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারবেন। অনেককে আমি প্রচার করতে শুনেছি খাদিজার করবের আজাব দুর করতে নাকি আল্লাহ্ প্রেরীত রাসুল মোহাম্মদ (স) মাটির সাথে হাত দিয়ে হাতাহাতি পর্যন্ত নাকি করেছেন। এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
যে মানব কবরে মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রেম স্থান করে নিয়েছে সেখানে কি করে আজাব থাকে বলেন?
১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী কিছু সংখ্যক মুসলিম নামধারী শয়তান ভন্ড বাংলাদেশের নিরীহ নারী জাতির উপর যে অত্যাচার ও ধর্ষন চালিয়েছিলো সে সম্পর্কে বাঙালী আগের চেয়ে অনেক বেশী অবগত। আর সেই রেপ যে যুদ্ধ পরবর্তী অপকৌশল হিসেবে পুর্ব পরিকল্পিত ছিলো আজ তা স্পষ্ট ভাবে ধরা পরে। সেই ধর্ষনের বিষয়টি যে শুধু মাত্র পাকিস্তানের একক পরিকল্পনা তাও মেনে নেয়া যায় না। তখনকার ইঙ্গ-মার্কিন কর্তাব্যাক্তিরা এই ধর্ষনের মৌন সমর্থন দিয়েছেন তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহের অবকাশ নেই। ঐ বর্বর কিছু অসভ্য জানোয়ারের জন্য পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের বর্তমান প্রজন্ম যারা আছেন তাদের এই বাংলাদেশের কাছে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা না চেয়ে তারাও ঐ বর্বরদের খারপ ও অমানবিকতার সমর্থন দিচ্ছে।
আরে ব্যাটা যিনি পূর্বপুরুষের অপরাধের জন্যও ক্ষমা চাইতেও জানে না ওদের এই বাঙালীদের পায়ের কাছে আসারও যোগ্যতা নেই।
প্রশ্ন আসতে পারে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কেনো?
এই কেনোর উত্তরে লুকিয়ে আছে মানবতাকে অপমান অবমাননা করে তার উপর গ্লানির স্তর বার্নিশ করে এই বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাটের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বাজেজ্ঞানের অন্যায় ও ভুল ডিসিসন। যুদ্ধ পরবর্তি যে করুন আকুতির সময় আমাদের বাংলাদেশের জাতির পিতা মহামানব দেবতা বঙ্গবন্ধু যে উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা পুরো বিশ্ব ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের দেবতারা নারীর অধীকারের প্রশ্নেও আপোষহীন ও সাম্যজ্ঞানের পরিচয় দিতে কার্পন্য করেন নি। আমরা বাংলাদেশী জাতি অনেক সাধারণ মানুষ আজও অনেক কিছু ভুল ভ্রান্তি ভরা যগাখেচুরির মতো জানি বলে এই সব ইতিহাসকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয়েছিলো।
কিন্তু বাঙালীর সব ভুল নারায়নের আশির্বাদে ফুল হয়ে ফুটে ওঠে। যুদ্ধ পরবর্তী সেই করুন সময় আমাদের দেশের জন্ম নেয়া লাওয়ারিশদের ত্যাগী মায়েরা যখন কুসংস্কারের কাছে মানুষিক ও শারিরীকভাবে বিপর্যস্ত। তখন আমাদের দেবতা শেখ মুজিব বলেছিলেন “বাপের নামের জায়গায় লিখে দে বাবার নাম শেখ মুজিবুর রহমান”।
এতো বড় অমানবিক বিষয়কেও যিনি তার বাঙালী গোত্র-সম্প্রদায়ের জন্য আপন ব্যাক্তিত্ব ও সত্যজ্ঞান বলে মানবিকে রূপান্তর করার পদ্ধতি শিখিয়ে গিয়েছেন সেই বাংলাদেশ সবার আগে মানবতার পূর্ণপ্রকাশের দিকে এগিয়ে আসবে এটাই অনেক বেশী স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু’র প্রিয়তমা স্ত্রী ফজিলাতুন নেসার ত্যাগ গাছের আড়ালে শিকরের মতো থেকে গেলেও সেই শিকর বাঙালীই সবার আগে চিনতে জানে।
একজন নেতার জীবনে তার সহধর্মিনী নারী মোটেও নেতার নেত্রিত্ব বিকাশে কম সহায়ক না। এ নিয়ে যদি কোনো বিদেশীর সন্দেহ থাকে তাহলে বাংলাদেশে এসে দেখে যান, বুঝে যান, তারপর না হয় বিশ্ব পলিটিক্সে এ বিষয়ে নতুন কোনো সাবজেক্ট খুলবেন। কে বলেছে বাঙালী নারীকে শ্রদ্ধা করতে জানে না? আমাদের বর্তমান সমাজে এতো এতো লিমিটেশনের মধ্যেও নারীকে যতটা সম্মান দেয়া হয় বিশ্বের অনেক উন্নত দাবি করা জাতি গোষ্টির রাস্ট্র তো আছেই, এমনকি মুসলমানদের তীর্থভূমী রূপে পরিচিত সৌদি আরব সহ গোটা মিডিলিষ্টেও নারীর প্রতি এতটা সম্মান দেয়া হয় না বরং তিলে তিলে নারী মাতা’র বিবেক বুদ্ধিকে বিনষ্ট করার পায়তারা আজও থামে নি। বাংলাদেশে নারীর এই অগ্রগতিতে আমরা আজও গর্ব অনুভব করি না কারণ আমরা এই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের নারীদের যে দিন সাম্যর জয়রথে তুলে পূজা দিতে পারবো ঠিক সেই দিন আমরা গর্বভরা আনন্দ করবো। ইনশাআল্লাহ্।
হায়রে ইংরেজ জাতির কর্তাব্যাক্তিবর্গ!!! যারা আজও নিজেদের বিশ্ব মোড়ল বলে দাবি করেন। তারা সভ্যতার নামে নারীদের অসব্য করার অভিযানের মিথ্যে ও ভুলে ভরা পলিসির এক্সিকিউশন করতে গিয়ে তাদের দেশের নারীদেরই বেশী বিপদ ডেকে এনেছেন। আধুনিক সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই যাদের এই ভুল চিন্তাধারার ব্যাপ্তি ঘটতে দেখা যায়। তারা নরী ও পুরুষকে যদি সমানরূপে মানুষ ভাবতে জানতেন তাহলে আজ তাদের এ অনিশ্চিত পরিনতি হয়তো এড়ানো যেতো।
বৃটিশ-এমেরিকান কর্তাব্যাক্তিরা তাদের প্রোডাক্ট বেউজড বিজনেস মার্কেটিং পলিসির সাথে নারীমাতাদের মিশিয়ে জলজ্যান্ত মানুষকেও প্রোডাক্ট ভেবে ভুল করেছেন।
এই ভুলের মাসুল আজ পশ্চিমারা হারে হারে টের পাচ্ছে।
নারী-পুরুষের স্বাভাবিক প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তি বলতে যারা শুধু সেক্সকেই ভাবেন তারা আর যাই হোক না কেনো ব্যালেন্সড মাইন্ডেড না। দু’টি মানব আত্মা যার একজন পুরুষ আর অন্যজন নারী, এই দু’জনের জ্ঞানের মাপকাঠি যদি সমান পর্যায়ের হয়। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই প্রেমে শান্তি আসে। বহুকামুক মন ও সমকামীতায় শান্তি বিনষ্ট হতে বাধ্য এবং বোনাস হিসেবে আত্নগ্লানী এবং দুরারোগ্য মানুষিক রোগ হয়।
আবারও বলছি বহুগামীতা ও সমকামীতাকে যদি সুখের জন্যই হোক বা বিশেষ কোনো পলিসি দ্বারা স্বার্থ হাসিলের জন্যই ব্যবহার করা হোক না কেনো এর দ্বারা কখনও অশান্তি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দূর্ণীতি ও অবিচার ছাড়া অন্য কোনো ভালো রিফ্লেকশন আশা করা যায় না।
আজ ইউরোপ এমেরিকার পৌড়-বয়বৃদ্ধ নারী পুরুষরা সবথেকে বেশী এককিত্ব ও নিঃসঙ্গতায় ভোগেন। মনের সাথে মনের মিলি হলে একজন প্রিয়তমর সথেই শত হাজার বছর সংসার করলেও- সেই প্রেমের জয় আছে ক্ষয় নাই।
তাই আজও সময় আছে পশ্চিমা বিশ্বকে শান্তির পথে নিয়ে যাবার। যেমন ধরুন ইউরোপ এমেরিকায় পুরুষের থেকে নারীর সংখ্যা বেশী।
আমাদের থেকে ওদের বেশী শিক্ষিত বলে দাবি করে। এ দাবি এই মুহুর্তে অন্তত অযুক্তিক না। আজ যদি আমাদের ছেলে-মেয়েরা ওদের দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের বেশী সুযোগ পায় বা ওদের দেশের মেয়েরা আমাদের দেশে শিক্ষা গ্রহনের ব্যাপারে আগ্রহী হয় তাহলে ওদের ও আমাদের উভয়েরই ভালো। আমাদের বুঝতে হবে টেকশই প্রেম ও দাম্পত্ব জীবন হয় মনের জ্ঞানের স্তরের সমতার ভিত্তিতে এখানে জাতি-গোষ্টি-দেশ প্রেম করার জন্য মোটেও বাধা নয়। প্রেমের প্রধান বাধা হল কুশিক্ষা ও মনের গোড়ামি ভরা কুসংস্কার।
আরও কিছু বাধা ধরা পড়ে যেমন ধরুন চিত্তের প্রতি আকর্ষনের থেকে অর্থের লোভ কে বেশী প্রধান্য দেয়া। মনে রাখবেন যে ধর্ম মানুষের মনে কুসংস্কার ও কুটিলতা সৃষ্টি করে সেটা কোনো ভাবেই ধর্মের আসল রূপ হতে পারে না বরং নকল রূপ।
যাই হোক, আমাদের কালচার আর ইউরোপ, এমেরিকান, জাপানিজ, রাশান, চাইনিজ, ফ্রেন্স, টার্কিশ, আইরিশ, ডাচ, পারসী, ইতালীয়ান, স্পেনিশ ইত্যাদি কালচারের ভালো দিক গুলো যখন উভয় দেশের শীক্ষার্থির মধ্যে একটি সহয সুন্দর সাবলিল পথের বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে প্রেমে রূপ নেবে তখন ইংরেজ আর বাঙালী এর মধ্যে গভীর প্রেম অনুভুত হবে। তাতে করে উভয় পক্ষই সত্যিকারের লাভবান হবো।
মনে রাখবেন, একজন সন্তান ধারনে অক্ষম নারী মাতা কোনো লাওয়ারিশ/বস্টার্ড বাচ্চাকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করতে গিয়ে তখন সেই মা যে গর্ভধারনে অক্ষম তা ভুলে যেতে চান বলেই ঐ সন্তানকে অনেক অনেক আদর-স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করেন।
ঠিক তেমনি করে একজন বিদেশীনী যখন একজন বাঙালীকে মন প্রান দিয়ে ভালোবেসে সুন্দর একটি সংসার গঠন করেন তখন সেই পুতুলের মতো মেয়েটি হয়তোবা শুদ্ধ বাংলা উচ্চারন করতে জানেন না ঠিকই কিন্তু স্বামী-শাশুরী, ননদ কিংবা গুরুজনের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা দেখাতে কার্পন্য করেন না। বাইরে থেকে ইরেজ মনে হলেও আসলে ভিতরে বাঙালী+ইংরেজদের ভালো দিক মিলেমিশে শান্তিই আসে।
এই সব কারণ বিবেচনায় রেখে বলছি বন্ধু!!! বিশ্ব সম্পৃতি রক্ষায় আজও কালচার বিনিময়ের সঠিক পন্থ্যা পূর্ণউদ্দ্যমে ব্যবহান করতে না জানলে যে মানব জাতি অকল্যানের পথের ভুল দিকে প্রবেশ করে সম্পৃতি বিনষ্ট হবে।
মা হাওয়া (ইভ্) নাকি বাবা আদমের (এ্যাডাম) পাজরের হাড্ডি দিয়ে তৈরি! রূপক কথা না বুঝে শুনে এই কথা অনেক মজার এক মিথ্যে ছাড়া কিছুই না। তাহলে বাবা আদমের জন্য হাওয়াকে কাছে পাবার এতো বাসনা ঐ পাজরের হাড্ডির জন্যই? এতে করে তো হাওয়ার সৃষ্টি হবার তো দরকার ছিলো না তারচেয়ে বাবা আদম নিজের একটি পাজরের হাড্ডি ভেঙ্গে, সেই হারটিকে যত্ন করে, পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকলেই হতো।
ধর্ম গ্রন্থ সমূহের রূপক অর্থকে যখন মিথ্যে ভাবে তাপসির করা হয তখন এমনই হয়। আবার ইসলাম স্পষ্ট ভাবে বলে যে, “নারী পুরুষ একে অপরের পোষাক সমতুল্য” (পুরুষের পোষাক নারী=নারীর পোষাক পুরুষ=সাম্যবাদ)। তাহলে যদি বাবা আদমের পাজরের হার দ্বারা হাওয়ার সৃষ্টি হয় তাহলে এভাবে বলা যায় যে, পাজরের হার পুরুষের পোষাক আর নারী অর্থাৎ পাজরের হারের পোষাক হলো পুরুষ। বলেন এ কথা কোনো স্বাভাবিক মানুষও কি সত্য বলে মেনে নিতে পারে? এখানেই বোঝার ভুল হয়ে বিপত্তি বাধে।
মা হাওয়ার মধ্যে আদমের মনের বেহেশতের মতোই এক প্রেমময় মহামানবীর আত্না ছিলো।
সেখানেই মানব জাতি সব প্রজাতির রাজার রাজা এবং রাণীর রাণী।
মনের এই সাম্যকে জাগাতে পারলে আমরা সবাই কল্যানের পথের যাত্রি হয়ে অনন্ত জীবন পাবো। পশুপাখি, জন্ত্রু-জানোয়ার কাম সুখ দাঁড়া তাদের বংশ বিস্তার ঘটায় ঠিকই কিন্তু চিন্তা শক্তি নিম্নশ্রেণীর হওয়ার সভ্যতা গড়তে জানে না ও সৃষ্টিশীল না- এটাই ওদের লিমিটেশন, শরীর নয়। এই লিমিটেশন আল্লাহ্ দিয়ে দিয়েছেন, যাতে করে ওরা মানুষের খেদমতে কাজ করে ধন্য হতে পারে। তাই বলে মানুষ যখন পশুতে রূপান্তর হবার চেষ্টায় রত তখোন কে তাদের বাঁচায় বলুন? সৃষ্টিশীলতা আমাদের প্রাণশক্তি ও মনের সম্পদ।
যখন দু’টি মন এক হয়ে পূর্ণ প্রাণ শক্তি নিয়ে বাঁচতে জানে, প্রাণ ভরে গাইতে জানে, সেই বাঁচার চেয়ে মানুষের আর বড় কি চাওয়া থাকতে পারে বলুন। যখন আমরা আমাদের জীবনকে পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারবো ঠিক তখনই ইচ্ছে হয় সবাই মিলে সুখে শান্তি তে থাকি। অর্থসম্পদ টাকা পয়সা ভাগ করলে হয়তো ভাগে কম পরে কিন্তু শান্তি যত বেশী ভাগ বাটারা করে নিতে জানবেন দেখবেন – আনন্দ ততো বাড়বেই। নারী-পুরুষে অসাম্য বা মানুষে মানুষে অসাম্য করার মধ্যেই পাপ থাকে সেই পাপ থেকে অশান্তির আগুন অভিষাপ নিজের ভিতরে থেকে নিজেকে নষ্ট পথে নিয়ে যেতে চায়। আসুন আমাদের বিবেক বুদ্ধি থাকতে আমরা কেনো নষ্টের দিকে নিজেদের ধাবিত করবো বলুন?
বাংলাদেশে কাজ চালিয়ে যাওয়া এন.জি.ও গুলো যেমন একটি সুদৃঢ় মার্কেটিং পলিসি ও প্লান তার আড়ালেও এই শত ভুলের মাঝেও বাংলাদেশী নারীর জন্য এন.জি.ও গুলোর আবদান কম না।
আজ বাংলার ঘরে ঘরে আত্ম প্রত্যয়ী নারীরা সাহসি ও আত্নত্যাগী সচেতন হবার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গার্মেন্ট সেক্টরে নারী পুরুষের সাম্য সুদৃঢ় হচ্ছে। বেতন বৈশম্য কমে যাচ্ছে। ওদের ঐ আত্মপ্রত্যয়কে যদি একটু সু-কৌশল, কাজের নির্দিষ্ট সময় নিশ্চিত করন, অতিরিক্ত খাটুনি যাতে না হয়, কাজের ফাঁকে ঠিকঠাক নাস্তা-খাবার, শরীরের যত্ন, কর্মপরিবেশের ঘাতটি মোচন, বয়স্ক শিক্ষা নীতি দূর্ণীতি মুক্ত করে সঠিক ট্যাকনিক্যাল ও কল্যানমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করন, সঠিক সাস্থ্য সেবা, একটু ভালো বেতন পাওয়া যদি সম্ভব করা যায় তাহলে আমাদের দেশের শ্রেণী বৈশম্য অনেক তাড়াতাড়ি ঘুচে গিয়ে সাফল্য আসতে বাধ্য।
সকল মানুষের কল্যানের জন্য মানুষের বিশেষ করে নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে মানব আত্মার মনের সৌন্দর্য্যকে কিভাবে আরো ফুলে-ফলে-জ্ঞান দিয়ে সাজানো যায় তা নিযে কাজ শুরু করে দিলেই হলো।
মনকে শিক্ষার আলোয় উদ্ভসিত করন ও কল্যানের পথে শিক্ষা-প্রজ্ঞা-জ্ঞান কে ধাবিত করার হৃদয় যতো বাড়বে- এই চির সুন্দর বাংলাদেশী জাতীর উন্নতির শিখর ততই নিকটবর্তী হবে্
ভারত মাতা ইন্দিরা গান্ধিকে আমার প্রণাম। স্বর্গে থেকেও তিনি আজ ভারতীয় নারীদের দুঃখ কষ্টের দিনগুলো দেখতে পাচ্ছেন। শিখদের তীর্থস্থান যে স্বর্ণমন্দীরে গুলির দাগ লাগার দায়ে শিখ দেহরক্ষীর হাতে এই দেবীকে প্রাণ দিতে হলো আজ ভারতীয়রা কেনো সারা বিশ্বই জানে সেই অপবাদ ঐ দেবীকে মিথ্যে মিথ্যি দেয়া হয়েছিলো। ইন্দিরা গান্ধির মতো মা মা চেহারার মায়াবতী নারী জানতেন না সেই ষরযন্ত্রের কথা। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আর তাদের তখনকার মোড়ল বিশ্বের সেরা গোয়েন্দা সংস্থাকে ভুল তথ্য দিয়ে, ভুল বাজে পলিটিক্সের কবলে পড়ে আজ ইন্দীরা গান্ধি নামক দেবীমাতার জন্য শিখদের সেই স্বর্ণমন্দিরে বসে সেই শিখ সম্প্রদায়ও চোখের জল ফেলে সম্মান জানায়।
ভালো মানুষ হতে হলে নারী পুরুষ মোটেও বিবেচ্য নয়। দেখুন ইন্দীরা গান্ধীর পুত্রবধু সোনীয়া বিদেশীনি হয়েও তার শাশুরীর মার্ডারকারী সম্প্রদায়কে শত্রু না ভেবে বন্ধু ভেবে ক্ষমা চাইতে দিদ্ধাবোধ করেন নি। এর নাম মানবতা। এই দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় পাথর মনের কেউ আসলেও কেমনে জানি সেই পাথর তরল হয়ে মানুষকে মানুষ হতে শিখায়।
তাই বিনয় করে বলছি! আর বসে থাকবেন না বন্ধু!!! আজ আর নারী-পুরুষের অধীকার নিয়ে ফাও ফাও খালি খালি তর্ক-বিতর্ক করে সুন্দর বাতাস ভারি না করে আসুন আমরা সবাই মিলে সব মানুষের সম অধীকারের কথা ভাবি।
সমাজের সকল স্তরে সাম্যের বানীকে প্রতিষ্ঠিত করি। এতে একসময় সাম্য সত্য ও মঙ্গলময় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবেই। তবেই তো মিথ্যে স্তর বিন্যাস ও ভেদাভেদ দূর হয়ে আমরা সবাই সবার কল্যনে এগিয়ে আসলে পৃথিবী হবে বিশ্বের বেহেশত। এ শুধু আমার একার সপ্ন নয়- এ যে সব শুভ আত্মারই সপ্নের বাস্তবায়নের নাম পরিচয়।
তারিখঃ৭/২/২০১৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।