জানিনা আমি কতোটুকু লিখতে পারি। কিন্তু তারপরেও আমার লিখতে ইচ্ছে হয় তাদের নিয়ে। যারা নামে মাত্রই মানুশ। এই সমাজ, ভালবাসার মানুষ এমনকি সৃষ্টি কর্তার কাছেও তারা অবহেলিত। কোথায় নেই অবহেলা সব জায়গায়।
তাদেরকে শুধু সুন্দরের পূজারী কতো দিন ভাবা হবে। মেয়ে গুলো কেনো বুঝে না তারা শুধু যৌনতার জন্যই তৈরি। হায়রে পুরুষ! আর কতো দিন ধোঁকা দিয়ে রাখবেন মেয়েদের।
আমি আমার এক আপু কে জানি যে কিনা ৬ কি ৭ বছর প্রেম করার পর ওই ছেলের কাছে শুনতে পারলো ছেলের পরিবার ছেলে কে আপুটার সাথে বিয়ে দিবে না! কারন কি জানেন? আপু সুন্দরী না তাই। এখানে ভালোবাসার কি দাম থাক্লো? ছেলেও রাজি প্রেম করার জন্য একজন ছিলো এখন বিয়ে করবার জন্য নতুন আর এক জন পেলো বাহ।
এখানেও নারীর দাম নেই।
আমার বাল্যকালের বন্ধু। তার পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের অনেক ভালো সম্পর্ক। তার বাবা অন্য মেয়ে নিয়ে রাত যাপন করে। আমার ওই বন্ধু,ঐ বন্ধুর মা সব ই জানে কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই কারন এই বয়সে এসে আর কি সংসার নষ্ট করবে।
তাদেরকে বাধ্য হয়ে থাকতে হবে ওই নর পিশাচ এর সাথে। এখানেও মেয়ে বা নারী বন্ধী কার কাছে? সমাজের কাছে।
আমাদের পাশের বাসায় এক আপু ছিলেন। তাদের সুখের সংসার ছিলো এক ছেলে এক মেয়ে। হঠাত এক দিন শুনি আপুর স্বামী লুকিয়ে আর একটা বিয়ে করে।
এখানে ও এই মেয়ের যাওয়ার জায়গা নেই। এই কুকুর কে নিয়েই সে তার বাচ্চাগুলো কে বড় করছে।
সব শেষে, ওই দিন প্রথম আলো তে একটা খবর পরলাম "কয়েকজন সহপাঠী মুঠোফোনে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। চরম এক পরিস্থিতিতে পড়ে মেয়েটি। বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ওই পরিস্থিতিতে দুই সাংবাদিক যখন বাড়িতে গিয়ে বাবার কাছে তার আপত্তিকর ছবিসহ সংবাদ টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে প্রকাশের হুমকি দেন, তখন আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেনি মেয়েটি। গত বৃহস্পতিবার সে স্যাভলন পান করে আত্মহত্যা করে। " এইকিনা আমাদের শিক্ষিত সাংবাদিক?
হাত তালি দিবো নাকি আনন্দে খিল খিল করে হাসবো নিজেই বুঝতে পারি না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।