আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৌমাছি রক্ষায় ইউরোপে নিষিদ্ধের তালিকায় কীটনাশক

নিওনিকটিনয়েডস জাতীয় কীটনাশক মৌমাছির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। বিশ্বে নিওনিকটিনয়েডস উৎপাদনের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের সিনজেন্টা এবং জার্মানির বেয়ার জানিয়েছে, মৌমাছির ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখনো প্রমাণিত হয়নি। এটা নিষিদ্ধ করলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কয়েকশ’ কোটি ইউরো ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
নিওনিকটিনয়েডস বন্ধের প্রচারণায় কয়েকটি দল এবং কিছু বিজ্ঞানী অভিযোগ করেছেন, কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী কিছু প্রতিষ্ঠানের চাপে সরকার এটি বন্ধের মূলনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। ইইউ-এর নিয়মানুযায়ী সদস্য দেশগুলো দু’মাস সময়ের মধ্যে এর একটি সমাধানে পৌঁছাবে অথবা কমিশন এই প্রস্তাবটি সম্পূর্ণ বাতিল করে দিতে পারবে।

ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নিকটিনয়েড ব্যবহার মৌমাছির স্বাস্থ্যের জন্য তীব্র ক্ষতিকর হওয়ায় কমিশন জানুয়ারির পর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অগ্রসর হয়।
প্রস্তাবে শীতকালীন শস্য এবং মৌমাছির বিচরণ নেই এমন শস্য ছাড়া বাকি সব শস্যের ক্ষেত্রে এই কীটনাশক বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ স্টারলিং এর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স-এর প্রফেসর ডেভিড গুলসন বলেছেন, ‘কীটনাশক ব্যবহৃত চারণভূমির শস্যগুলো যে মৌমাছির জন্য খুবই ক্ষতিকর, তা পরিষ্কারভাবেই প্রমাণিত’।
এ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালানো দল ‘অ্যাভাজ’-এর একজন প্রচারক ইয়ান কিথ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ, জার্মান এবং যুক্তরাজ্যের মতো দেশ শুধু শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাপে মৌমাছির মৃত্যুর জন্য দায়ী কীটনাশকটি বন্ধের বিরোধিতা করছে।’

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।