.
ব্লগার এক্স -রে ভাইয়ের অগ্নির রিভিউ পইড়াই আভিসারে দিলাম (সিনেমা হল) দৌড়। গিয়ে দেখি হুলুস্থুল কারবার। নায়িকা মাহীর (রূপের)আগুন দেখতে সবাই অস্থির। কেউ বলে মাহীকে একদম হিন্দি ছবির নায়িকার মত লাগে , আরেকজন বলে উঠল না না ইংলিশ, ইংলিশ। এসব শুইনা আগুনে ঝাপ দেওয়ার আর তর সইলো না।
তাই ব্ল্যাকার থেইকা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে টিকেট কাইটা ঢুইকা পড়লাম।
পোস্টার দেইখা কি হলিউডের ছবি মনে হয়??
ছবির প্রথম শট দেইখাই বুঝতে দেরী হল না অগ্নি নায়িকা প্রধান ছবি। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র তানিশা(মাহী)। য়ে গুলজার (আলিরাজ)নামের একজনকে খুজছে। গুলজারকে পাওয়ার জন্য তানিশা খুন করে গুলজারেরে পার্টনার কামালকে।
কামালের মোবাইল থেকে তানিশা জানতে পারে গুলজার তার সাঙ্গ-পাঙ্গ সহ থাইল্যান্ড। তানিশা ছুটে যায় থাইল্যান্ড। সেখানেও সে গুলজারেরে আরেক পার্টনারকে খুন করে। খুন করার সময় হালকা ফ্ল্যাশ ব্যাকে দর্শক বুঝতে পারে তানিশা কোন খুনের প্রতিশোধ নিচ্ছে। যাক তাহলে দেশের ছবিই দেখছি।
কিন্তু না...
থাইইল্যান্ডেই আমরা প্রথম দেখতে পাই নায়ক ড্রাগন/শিশির( আরেফিন শুভ) কে। য়ে গুলজারে র বডি গার্ড বা সিকিউরিটির দায়িত্ত পালন করে। কি এবার কি হিন্দি ছবি মনে হচ্ছে???আপেক্ষা করেন বলছি..
তানিশার আপনজন বলতে একমাত্র মামা মার্শাল; মাস্তান(মানুষকে মাইরা টাকা উদ্ধার কইরা ফালায়)। মামার সাথে এক কথপোকথনের সময় দর্শক জানতে পারে তানিশার এই খুনে বূপের কারন। বুঝলাম তানিশা বাবা-মায়ের হত্যার প্যতিশোধ নিচ্ছে।
কি ... বাংলা ছবির কমন থিম বুউঝা পালাইলেন??সবুর করেন ..
এটুক দেখার পরেই ছবির কাহিনী ধরা পড়ল। এটি আসলে ২০১১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ফ্রেন্জ-আমেরিকান মূভি Colombiana র বাংলাদেশ সংস্করণ।
ছবির কাহিনী আর কিছু কমু না। তবে কিছু বিষয় না বললেই নয়। যেমন-
১।
ছবির সাউন্ড ট্র্যাক ভালো। দুটি রোমান্টিক গান আছে। কিন্তু গান গুলোর দৃশ্যায়ন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দৃশ্যে এবং আরেকটু লং শটে ধারণ করলে ছবির সফলতা বহু গুনে বেড়ে যেত। বিরহের গানে (টাইটেল ট্র্যাকও বলা যায়)এক দৃশ্য বার বার দেখানোয় বিরক্ত লেগেছে।
২।
গল্প অনুযায়ী তানিশার(মাহী) এক্সপ্রেশন ভাল ছিল। ছোট বেলার তানিশা চরিত্রে পুজা অভিনয় দারুন। কিন্তু এরকম খুনে চরিত্রের বড় তানিশার ক্ষিপ্রতা ও গতি কমেই মনে হয়েছে। তবে অ্যাশন দৃশ্যের কয়েকটা শট চোখে আরাম পাওয়ার মত।
৩।
ড্রাগন/শিশির( আরেফিন শুভ) এর মামা-মামীর চরিত্রে কাবিলা-থাই মহিলা্র অভিনয় অনেক মজার। তবে ছবির প্রথমদিকের বর্ননায় বলা হয়, ড্রাগন এর বাবা বাংলাদেশী মা থাই ..তাইলে মামা কিভাবে বাংলাদেশী হয়??
৪। গান ম্যান হিসেবে ড্রাগন এর ফিজিক ঠিক..কিন্তু সে আনেক আবেগী। শেষ ফাইটের পরে সে পুরা রোমান্টিক ছবির নায়ক হয়ে গেছে। শেষ ফাইটা গল্পের কারনেই আরোও দীর্ঘ করার দরকার ছিল।
এছাড়াও ছবিতে কিছু মজার ,কিছু কপি করা ডায়লগ ও আছে। আছে কিছু অসঙ্গতি (হালকা) , বিশেষ করে লিফট ও তেলাপোকাকে কেন্দ্র করে।
কপি হইছে তো কি হইছে ,ছবি এখন হরহামেশাই কপি হয়। ছবিটা একদম ফকফকা। সুস্থ ছবি।
নায়িকাটা জোস। পয়সা উসুল হবে। হলে গিয়ে ছবি দেখুন ।
আরেকটি তথ্য ছবিটির আয় গত দু দিনে দু কোটি ছাইড়ায় গেছে!!
না দেখলে পস্তাইবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।