সবার আমি, আমার দেশ।
মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশের থ্রি-জি এর মতই অনেক সম্ভাবনার হাতছানি দিয়েছিল।
কিন্তু সেই সম্ভাবনাগুলো কি সত্যি সম্ভাবনা নাকি 'সম্ভব না'.. তা নিয়ে দ্বিধায় ফেলছেন আমাদের। ইনফোনেট (http://www.infonetbd.org) এর রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিকাশ একাউন্ট তথা ডাচ-বাংলা নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা হলো।
সবচেয়ে বড় প্রতারণা যেখানে বিকাশই মানুষের সাথে করছেন,
তার মধ্যে অন্যতম হলো-
১. প্রথমে সেন্ড মানি 2 টাকা করে বিজ্ঞাপন দিলেও, লক্ষ লক্ষ গ্রাহক হওয়ার পর এখন গোপনে সেখানে ৫ টাকা করে কাটছে!!
২. দেশের জেলা-ভিত্তিক কোন প্রকার কাস্টমার কেয়ার না দিয়ে, পথে ঘাটে ফ্লেক্সিলোডের দোকানদারদেরকে দিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে নিচ্ছেন এরা।
ডাচ-বাংলায় নেটওয়ার্ক সমস্যা হলেও সেখানে বুথ এবং এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনে কোন চার্জ নেই। অথচ এরা ৫০,০০০ টাকায় প্রায় ১০০০ টাকা কেটে নিচ্ছে!!! যেখানে তাদের কোনপ্রকার খরচই নেই!!! তার উপর কোন কোন ফ্রেক্সিলোড রুপী স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন দোকানদারগণ বাড়তি চার্জের পাশাপাশি কাস্টমারদের নানা রকম হয়রানির স্বীকার করেন।
৩. দেশের কোন জায়গায় তাদের সাথে যোগাযোগ করার মত কোন মাধ্যমে নেই। অনেক হতাশ হয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কেয়ারে ফোন দিলেও তারা বলেন, বিকাশ সর্ম্পকে তারা কিছু জানেন না!!
৪. টাকা পাঠানোর পর রিসিভারের কাছে একটা মেসেজ আসার কথা যেখানে ট্রান্সাকশন আইডিটি কিংবা মোবাইল নাম্বারটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ কারণ আমাদের ইনফোনেট এর কথা চিন্তা করলে; এখানে প্রতি ঘন্টার অনেকেই টাকা পাঠান কিন্তু যদি মেসেজ না পাওয়া যায় তাহলে আমি কিভাবে নির্ধারণ করবো যে এটা কে পাঠিয়েছেন?? তারা সেই মেসেজটিও মাঝে মাঝে পাঠানই না। আবার অনেক সময় পাঠালেও গ্রাহককে ২/৩ ঘন্টা সময় গুনতে হয়।
৪. বর্তমানে বেশির ভাগ এজেন্টরা অন্য এজেন্টে টাকা পাঠান না যার ফলে গ্রাহককে চরম ভোগান্তি নিয়ে এক এজেন্ট থেকে অন্য এজেন্ট এ দোড়াদোড়ি করতে হয়!!
পাহাড় সমান সমস্যার আর রমরমা ব্যবসার এই মোবাইল ব্যাংকিটি এখনো কিভাবে টিকে আছে???
আমার ফ্রেন্ডলিস্টের সাংবাদিক ভাই এবং অন্যান্য গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাই,
সকল প্রকার পত্রিকা এবং পাবলিক ফিগারগণ এই ব্যাপারটা জেনেও নিশ্চুপ কেনো??
অবিলম্বে এ ব্যাপারে আপনাদের আশু পদক্ষেপ চাই।
১. ক্যাশআউট চার্জ ফ্রি এবং সেন্ড মানি ঘোষনা অনুযায়ী ২ টাকা করে,
২.প্রতিটি থানা পর্যায়ে একটা করে কাস্টমার কেয়ার
৩. লুকোলুরি বাদ দিয়ে সহজেই যোগাযোগের জন্য একটি নিদির্ষ্ট নাম্বার
৪. প্রতিটি ট্রান্সাকশনের জন্য ট্রান্সাকশন নাম্বারসহ দ্রুত মেসেজ পাঠানো ।
৫. বিকাশ লিমিট মাসে ১০০ তে উন্নিত করা।
যারা আমার দাবিগুলোর সাথে একমত তারা শেয়ার করে এদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতি প্রতিবাদ জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।