গত ৮ ফেব্রুয়ারি, আইসিসির বোর্ড সভায় প্রতিযোগিতা ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তনে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের প্রস্তাবের পক্ষে আটটি দেশ সায় দিলেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। নিজেদের বোর্ডে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায় তারা।
মঙ্গলবার ‘তিন মোড়লের’ ঐ প্রস্তাবের পক্ষে এসএলসির নির্বাহী পর্ষদের সবাই একমত হয়েছে।
প্রস্তাবে রাজি না হলে স্বাভাবিকভাবেই ঐ তিনটি দেশের সঙ্গে সু-সম্পর্ক নষ্ট হবে শ্রীলঙ্কার। এজন্য ভবিষ্যতে যদি দেশ তিনটি শ্রীলঙ্কা সফরে না আসে তাহলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করেন এসএলসির সচিব নিশান্থা রানাতুঙ্গা।
“যেসব মানুষ নীতির কথা বলে তারা আমাদের অর্থ দেবে না। এই সফরগুলো থেকেই আমাদের অর্থ উপার্জন করতে হবে। ”
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে সঙ্গে নিয়ে আইসিসির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ভারতীয় বোর্ড বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার খোলনলচে পাল্টে ফেলার প্রস্তাব আনার পর থেকেই এ নিয়ে প্রবল সমালোচনা হচ্ছিল। খসড়া প্রস্তাবে দুই স্তরের টেস্ট ফরম্যাট থেকে সরে আসার পর বাংলাদেশ এতে সমর্থন দেয়।
এরপর কিছুটা পরিবর্তনের পর প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় ভারতের নেতৃত্বে থাকা জোটই আইসিসিতে সর্বেসর্বা হতে যাচ্ছে।
নীতিগত কারণে শুরুতে ‘বিতর্কিত’ ঐ প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিলেও এসএলসি বুঝতে পারছে, এটা তাদের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।
কারণ এমনিতেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের প্রস্তাবটি পাস হতে প্রয়োজনীয় আটটি ভোট পড়ে গেছে। সুতরাং আগামী জুনে আইসিসির বার্ষিক সভায় প্রস্তাবটির আনুষ্ঠানিকভাবে পাস হওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।