মনে মনে কথা বলে পাগলেরা নানীজান প্রায় ই বলতেন
অথচ তাকে ই প্রায় দেখেছি একা কথা বলছেন নকশী কাথার লতা পাতা, জং ধরা সোনমুখী শুই, আলমারিতে জমানো পুরানো শাড়ির সাথে!
ছোটবেলায় রিনি খালাকে আমরা পাগলী বলে খ্যাঁপাতাম,
কতদুপুর দেখেছি তাকে উঠোনের কোণে পেয়ারা গাছটার সাথে কথা বলতে
সোনার মা বলতো জীনের আছর,
সে সোনার মা ও সন্ধ্যার পর ঘর অন্ধকার করে পান ছেঁচতো আর বিড়বিড় করে একমনে কথা বলতো....
তারা কেন কথা বলে?
কি বলে ?
আমি কখনো ভেবে পাইনি
ভেবে পাইনি এসব জড় তুচ্ছ বস্তুর সাথে মানুষের কি কথা !
তবে একসময় জেনেছি মানুষ ভীষন একা,
ভেতরে ভেতরে একা,
মানুষের ভেতর একা,
তার সুপারী কাঁটার যাতি, পানের বাটা, হামাল দিস্তা সব যেন এক একটা মানুষ
উঠোনের কোণের পেয়ারা গাছ,
ন্যাপথালিনের গন্ধমাখা পঞ্চাশ উদ্ধ শাড়ি ও তাই...
হ্যা মনে মনে কথা বলি আমিও;
কথা বলি আমার ঘরের ইটের সাথে
যারা দেওয়ালের মাঝে স্তরে স্তরে আটকা পড়েছে পেলস্তারের আবরণে
কথা বলি নষ্ট দেওয়াল ঘড়িটার সাথে
যেটা গত চার টি বর্ষায় সচল ছিলো
পৃথিবী নিরব হলেই যে সরব হয়ে উঠতো
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তার চলার শব্দ মনে হতো হৃদস্পন্দনের মতো;
কথা বলি শীতের রাতে ছাদের সাথে ঝুলে থাকা নিশ্চল ফ্যান টার
সাথে..
মনে মনে কথা বলি
বলতে বলতে ঘুমিয়ে যায়,
কি বলি আমিও জানি না !
এ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে
তারপর জড়বস্তুর মত ফিরে যায়
প্রাত্যহিক নিয়মমাফিক জীবনে....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।