তিনি বলছেন, সব দলের সমর্থিত প্রার্থী থাকায় ভোট নিয়ে সহিংসতারও শঙ্কা নেই।
গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় মাসের মাথায় চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
এর আগে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবম সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ২০ শতাংশ ভোট কম পড়েছিল।
দেশের ৪৮৭ উপজেলায় ছয় ধাপে নির্বাচনের প্রথম পর্ব ভোট শুরু হয়েছে বুধবার।
এ পর্বে ৪০ জেলার ৯৭ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট শুরু হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ মাঠপর্যায় ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, এ নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা নেই।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, “এবার তো কেউ নির্বাচন প্রতিহত করছে না। বরং সব দলের সমর্থন নিয়ে প্রার্থীরা রয়েছে মাঠে। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে বিশেষ নজরও দিচ্ছি আমরা।
উৎসবের আমেজেই ভোট হবে আশা করি। ”
তৃতীয় উপজেলায় ৬৮ শতাংশ
২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি দেশের ৪৮১ উপজেলার মধ্যে একযোগে ৪৭৫ উপজেলায় ভোট হয়। ওই সময় ভোটের আগের দিন দুইটি ও ভোটের দিন চারটি উপজেলার ভোট স্থগিত করে ইসি।
৪৭৫টি উপজেলায় মোট ভোটারের ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ নাগরিক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান- এই তিন পদে ভোট দেয়।
চেয়ারম্যান পদে মোট ভোটারের ৬৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে।
২০০৯ সালে দেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে তৃতীয় উপজেলা পরিষদে ভোটার ছিল ৭ কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩০ জন। এরমধ্যে মোট ভোট দিয়েছে ৪ কোটি ৯১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৯ জন।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৩ শতাংশ। রাজশাহীতে ৭৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, বরিশালে ৭২ দশমিক ১ শতাংশ, সিলেটে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ ও খুলনায় ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে। সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ৪০ শতাংশ।
এবার ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের মধ্যে উপজেলায় ভোট রয়েছে প্রায় সাড়ে আট কোটি।
৯৭ উপজেলায় বুধবার ভোটের পর দ্বিতীয় ধাপে ১১৭টির ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ ও ৯২ উপজেলায় ২৩ মার্চ ভোট হবে। পরে ৩১ মার্চ ও ৩ মে বাকিগুলোয় ভোটের কথা রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।