লোকসভায় পৃথক তেলেঙ্গানা বিল পাশের প্রতিবাদে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি। একইসঙ্গে কংগ্রেস থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
রেড্ডি জানান, 'আমি কংগ্রেসের সঙ্গে আর থাকতে পারব না। যারা (কংগ্রেস) আমাকে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসিয়েছে, তারাই তেলেগু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমি একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক ও কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।
'
বুধবার সকালেই তাঁর অনুগত মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কিরণ কুমার রেড্ডি। এরপরই সংবাদ সম্মেলন ডেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা দেন তিনি। বৈঠক শেষ করেই রাজ্যপাল ই.এস.এল. নরসিংহমের কাছে তার পদত্যাগপত্র তুলে দিতে রাজভবনের দিকে রওনা হন।
মঙ্গলবার নজিরবিহীনভাবে মার্শাল ডেকে, টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে, প্রবল হট্টগোলের মধ্যে তেলেঙ্গানা বিল পেশ করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে। সেই প্রসঙ্গে রেড্ডির অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্কের লোভে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস), তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি), বিজেপি এবং কংগ্রেসে বিভাজন রেখার সৃষ্টি করেছে।
লোকসভার সম্প্রচার বন্ধ করে দরজায় মার্শাল ডেকে যেভাবে বিল পাশ করানো হয়েছে এর তীব্র নিন্দা করেছেন কিরণ কুমার রেড্ডি।
এদিকে তেলেঙ্গানা বিল পাশের প্রতিবাদে বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে হরতাল পালন করছে ওয়াই.এস.আর.কংগ্রেস। দোকান-পাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব বন্ধ। শুনশান রাস্তাঘাট। হরতাল ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে, প্রয়োজনে আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।