ভারতের সংসদে পাস হয়ে গেল তেলেঙ্গানা বিল। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পৃথক হয়ে তেলেঙ্গানা হওয়ার পথে আর কোনো বাধা রইল না। তবে এ বিলের বিরোধিতা করেছে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি), বিজু জনতা দল, অল আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাঘাম (এআইডিএমকে), শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআইএম। অন্যদিকে বিলকে সমর্থন করেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এদিন সংসদে বিল পাস করানো নিয়ে সকাল থেকেই মরিয়া ছিল কংগ্রেস।

কিন্তু এ বিলকে ঘিরে বারবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। দফায় দফায় মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন। লোকসভায় তেলেঙ্গানা বিলের প্রতিবাদে সভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তেলেঙ্গানা বিরোধী সাংসদরা। অশান্তির আশঙ্কায় এদিন কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল সংসদ। বিল পাস করানোর জন্য সংসদের দরজা বন্ধ করে মার্শাল ডেকে আনা হয়।

বিল পাস করানোর বিরোধিতা করে সংসদের অধিবেশন ওয়াকআউট করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং জনতা দল ইউনাইটেড। শেষ পর্যন্ত প্রবল হট্টগোলের মধ্যে বিলটি পাস হয়। এভাবে বিল পাস হওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন তেলেঙ্গানা বিরোধী সাংসদরা।

অন্যদিকে বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস) নেতারা। টিআরএস নেতা কে. চন্দ্রশেখর রাওয়ের বাড়ির সামনেই আনন্দে মেতেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।

বিল পাস করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ধে বলেছেন, সীমান্ধ্র এলাকার মানুষের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেবে।

এভাবে বিল পাস করিয়ে দিনের আলোয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা জগনমোহন রেড্ডি। যেভাবে টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে, সংসদের দরজা বন্ধ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেছেন রেড্ডি। বিল পাসের প্রতিবাদে আজ বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশে হরতালের ডাক দিয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ রেখে সংসদে যেভাবে তেলেঙ্গানা বিল পাস করা হয়েছে তাকে অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায় বলেন, তৃণমূল যে কোনো রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে।

এদিন বিল নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন সৌগত রায়। আজ রাজ্যসভায় এই বিলটি পাস করানো হবে।

 

।