আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশিদের অপরাধ উত্তরা-গুলশান-বারিধারা কেন্দ্রিক

চায়নায় পড়ার জন্য০১৫৩৪৬৬৮৩১৪, ০০৮৬১৩৭১৯২৭৫০৪৬ www.xueonline.info

বিদেশিদের অপরাধ উত্তরা-গুলশান-বারিধারা কেন্দ্রিক শিরোনামের খবরটা বাংলা্নিউজ২৪ ডট কমে পড়লাম। আসলে জিনিসটা আমি অনেক আগেই ভেবেছিলাম কারন আমার বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে আমি জিনিসটা অনুধাবন করেছিলাম। আমি দেখেছি চায়নাতে কিভাবে বিদেশীরা অবৈধ কাজ করে থাকে। আর চায়নার সরকারও এই ব্যাপারে অনেক বেশি তৎপর । আর এই জন্যই তারা তাদের ভিসা নীতি প্রতি বছর পরিবর্তন করে থাকে এবং খুব কঠোর ভাবেই করে।

নিজের দেশের প্রতিরক্ষার চিন্তা তারা করে সবসময়ই। কিন্তু আমাদের দেশের এখন এই অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ার কারনে বিভিন্ন দেশের অবৈধ ব্যাবসাকারীরা এখানে অনুপ্রবেশ করবেই যেমনটা চায়নাতেও হয়েছিল কিন্তু চায়নার সরকার সাথে সাথে উদ্যোগ নিয়ে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রন করে ফেলেছে। ট্রেনের টিকিটাও এখন পাসপোর্ট দেখিয়ে কিনতে হয় চায়নাতে। কিন্তু আমাদের দেশে এই বিদেশী লোকদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের সরকারের ধারনা যত বিদেশী আসবে ততই ভালো এবং আমরা অলরেডি ভালো দেখা শুরু করছি।

আমাদের দেশে এই যে বিদেশীদের অবাধ প্রবেশ এবং বিচরন তা কিন্তু আমাদের দেশের জন্য মোটেও ঠিক নয়, হ্যা তবে এটা ঠিক আমাদের দেশে বিদেশীরা পর্যটক হিসেবে আসলে আমাদের দেশের আয় হবে তবে আমাদের দেশের সরকার তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে রাখলে হবে না। বিদেশীরা যদি আমাদের দেশে ইনভেস্টও করতে আসে তাদেরকে আমাদের দেশের আইন এবং নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে যেতে হবে না হলে তারা আমাদের দেশে এসে আমাদের দেশের লাভ থেকে ক্ষতিই বেশি নিয়ে আসবে। সর্বনিম্ন তাদের অবাধ বিচরনকে আইনের আওতায় এনে নিয়ন্ত্রন করতে হবে এবং বিদেশীদের কাজকর্মের উপর মনিটরিং ব্যাবস্থা তৈরি করতে হবে। না হলে আমাদের দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটিত হবে। যা পরে প্রতিকারের কোনো উপায় থাকবে না।

এখনও সময় আছে মাত্র বিদেশীরা আমাদের দেশে আসা শুরু করেছে এখনই একটি বিদেশীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো শক্তিশালী আইন এবং মনিটরিং সেল গঠন করার। না হলে আরো অনেকদিন আগে শুনেছিলাম যে কাশ্মীর থেকে কতগুলো জঙ্গি এসে বোমা বানানোর ট্রেনিং দিচ্ছে আবার উলফা নেতা অস্ত্র চোরাচালান করতেছে আর এগুলা একটা দুইটা ঘটনা কিন্তু আড়ালে যে কত ঘটনা ঘটছে কে জানে। আমদের দেশের মানুষদেরকেও এই ধরনের বিদেশীদের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে না হলে আবার নাইজেরিয়ার এক নাগরিক যে ডলার জালিয়াতি করেছিল তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বা তার মত প্রতারণার আরো অনেক ঘটনা ঘটবে। বাংলাদেশের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি বিদেশী আছে চিটাগাং এ। সেখানে চায়নিজরা বিভিন্ন রকম অবৈধ ব্যাবসা শুরু করেছে।

তারা বাড়িতে গিয়ে ভাড়া করে থাকে এবং একটি বাড়ি পুরো ভাড়া নিয়ে সেখানে অবৈধ দেহব্যবাসা শুরু করেছে। বেশিরভাগ চায়না থেকে মেয়েদেরকে নিয়ে আসে। এই সবকিছু আমাদের চায়নিজ বন্ধুদের থেকে পাওয়া তথ্য। এরা এইসব কিছু করার সুযোগ পায় এর কারন একটাই আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারীর লোকেরা এদের সাথে জড়িত এবং এটা শতভাগ নিশ্চিত আর নিশ্চিত এইজন্যে যে এরা না চাইলে বিদেশীর জীবনেও কোনো অবৈধ কাজ করতে পারবে না। আমি যখন মালেয়শিয়া গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম চায়নিজরা পুরা মালেয়শিয়াকে কিভাবে দখল করে ফেলেছে।

ব্যবাসা করার কথা বলে তারা পুরো মালোশিয়ায় এখন রাজত্ব কায়েম করেছে। আর মালেয়শিয়ার সরকার তাদের কথা মত চলতে বাধ্য হচ্ছে কারন মালেয়শিয়াতে তাদের বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যা আছে। মালোশিয়ান সরকার এখন ক্ষমতা থেকেও কিছু করতে পারছে না। এখনই সময় আমাদের দেশের সরকারকে এই নিয়ে ভাবতে হবে না হলে পরে অনেক দেরী হয়ে যাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.