আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৌশলে ক্ষমতা ধরে রাখা গণতন্ত্র নয়, জনসমর্থন না থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়াই গণতন্ত্র।

fb.com/naminrng হাতে গোলাপফুল ধরলে তার কিছু গন্ধ লেগে থাকে।

তারা ছিলেন একদিনের বাদশা। পাঁচ বছরে একবার ব্যালটের মাধ্যমে জানান দিতেন নিজেদের ক্ষমতার। ৫ই জানুয়ারি তাদের কাছ থেকে সে ক্ষমতাও কেড়ে নেয়া হয়। দেশের মালিকরা দেখলেন তাদের কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই সরকার গঠন হয়ে গেছে।

তবে আবারও সুযোগ পেয়ে নিজেদের ক্ষমতার জানান দিলেন অসহায় জনগণ। যদিও এক সহযোগী দৈনিকের ভাষায়, এই হলো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। ক্ষমতার কেন্দ্রে এ নির্বাচন কোন পরিবর্তনই আনবে না। তবুও আপাত অসহায়, পর্যুদস্তু ভোটাররা প্রমাণ করলেন, তারা নিজ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। দশম সংসদ নির্বাচনের পর যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে রাজনীতি থেকে আউট মনে হচ্ছিল উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্বে সে জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলায় জয়ী হয়েছে।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে- বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৪২, আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা ৩৪, জামায়াত সমর্থকরা ১২, জাতীয় পার্টি সমর্থকরা একটি উপজেলায় জয়ী হয়েছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত জোট একসঙ্গে ৫৪টি উপজেলায় জয়ী হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন একটি বার্তা পরিষ্কার করেছে, সংসদে প্রতিনিধিত্ব না থাকা বিএনপিই এখন তৃণমূলে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। ৫ সিটি করপোরেশনের পর ৪০টি জেলার ৯৭টি উপজেলা নির্বাচনেও এটা প্রমাণ হয়েছে সুযোগ পেলে মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে কমপক্ষে ১০টি জেলায় ক্ষমতাসীনরা প্রভাব বিস্তার করে।

জাল ভোট, অস্ত্রবাজি আর কেন্দ্র দখলের ঘটনাও ঘটে। এ কারণে নয়টি উপজেলায় বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেন। শক্তির প্রদর্শনীর ঘটনা না ঘটলে বিএনপি আরও বেশি উপজেলায় জয়ী হতেন বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও এ বিজয় বিএনপির রাজনীতির জন্য অক্সিজেন নিয়ে আসবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব সময়ই তৃণমূলে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ।

তৃণমূলই ছিল দলটির সবচেয়ে বড় ভরসা। কিন্তু একের পর এক স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয় প্রমাণ করে দলটির জনপ্রিয়তা কমছে তৃণমূলে। বৃহস্পতিবারের উপজেলা নির্বাচনে ৯৭টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৪টিতে জয় পেলেও ২০০৯ সালের এসব উপজেলার নির্বাচনে প্রায় দ্বিগুণ আসনে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের পর আলীগ নেতারা বলেছেন তারা কৌশলে জয়ী হয়েছেন। কৌশল নির্বাচনে জয়ের একটা উপায় হতে পারে কিন্তু জয়ের মাধ্যম হতে পারে না।

কৌশলে ক্ষমতা ধরে রাখা গণতন্ত্র নয়, জনসমর্থন না থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়াই গণতন্ত্র। আশাকরি সরকার জণগন কি চায় এর মর্মার্থ বুঝতে পারবে। আলীগ যত দ্রুত জনগনের মনের অনুভূতি বুঝতে পারবে ততই তাদের মঙ্গল হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.