আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আফিল, মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ দুটি রিটের নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।

ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, যশোর-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত শেখ আফিল উদ্দীন ও  যশোর-২ আসনের বেসরকারিভাবে বিজয়ী মনিরুল ইসলাম।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ এখনো আটকে রয়েছে।

হাই কোর্টের আদেশের ফলে বিষয়টি আবার কমিশনেই গেল, যদিও হাই কোর্টে যাওয়ায় এর আগে কমিশন ওই অভিযোগের শুনানি স্থগিত করেছিল।

দোষী প্রমাণিত হলে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।

  

আদালতে আফিল ও মনিরুলের পক্ষে শুনানি করেন এম কামরুল হক সিদ্দিকী। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মো. বজলুর হাসান।

বজলুর হাসান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত উভয় রিট নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। পর্যবেক্ষণে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের গেজেটের বিষয়টিও ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

ভোটের আগে গত ১ জানুয়ারি যশোরের প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট আওয়ামী লীগের এই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী কমিশনে অভিযোগ করেন।

নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ৩ জানুয়ারি কমিশনে যে প্রতিবেদন পাঠায়, তাতে বলা হয়, ওই দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর তারা প্রকাশ্যে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন- প্রতি কেন্দ্রে ১শ’ জন কর্মী ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকের জয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

এরপর গত ৭ জানুয়ারি দুই প্রার্থীকে আলাদা কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়, “৯১ ই অনুসারে দশম সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ ও যশোর-২ নির্বাচনী এলাকার সদস্য পদে কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, তা পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ইসিতে দাখিল করতে হবে। ”

তারা নির্বাচন কমিশনের নোটিসের জবাব দেন ১৫ জানুয়ারি।

এরপর এ বিষয়ে শুনানির দিন রাখে নির্বাচন কমিশন।

এরই মধ্যে দুই প্রার্থী হাই কোর্টে রিট করায় কমিশনে সেই শুনানি আর হয়নি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।