যশোর-১ ও যশোর-২ আসনে দুই নির্বাচিত প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীন ও মনিরুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেয় আদালত।
কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হতে চললেও মঙ্গলবার পর্যন্ত তা নিষ্পত্তি করতে পারেনি ইসি।
ইসির আইন শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, পর্যবেক্ষণসহ আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি না পাওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন সিদ্ধান্ত আসবে তখন আপনারা (গণমাধ্যম) জানবেন। ”
নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে নোটিস দেয় ইসি।
পরবর্তীতে শুনানিরও উদ্যোগ নিলে ওই দুজন আদালতের শরণাপন্ন হয়। পরে আদালত ইসির কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে রায় দেয়।
এ অবস্থায় দুইজনের আবার শুনানি করবে, নাকি আদেশের জন্য অপেক্ষা করবে, তা নিয়ে আলোচনা করে ইসি।
এ দুই আসন ছাড়া নবম সংসদে নির্বাচিত সবার ফলাফলের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এই দুই প্রার্থীর বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে একমাসও লাগতে পারে আবার ছয় মাসও বিলম্ব হতে পারে। ওই সময় পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়ে ঝুলে থাকার শঙ্কাও রয়েছে।
সেই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ একমাসেরও বেশি সময়ের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে রয়েছেন। এ অবস্থায় সিইসির অনুপস্থিতিতে রুটিন কাজ ছাড়া নীতিগত কোনো সিদ্ধান্তও নিতে পারবে না ইসি।
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় তাদের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করেনি ইসি।
হাই কোর্টের আদেশের ফলে বিষয়টি আবার কমিশনেই গেল; যদিও হাই কোর্টে যাওয়ায় এর আগে কমিশন ওই অভিযোগের শুনানি স্থগিত করেছিল।
অবশ্য অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দণ্ড বা জরিমাণা বা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ৩ জানুয়ারি কমিশনে যে প্রতিবেদন পাঠায়, তাতে বলা হয়, ওই দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর তারা প্রকাশ্যে বক্তব্যে বলেছেন- প্রতি কেন্দ্রে ১০০ জন কর্মী ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকের জয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
এরপর গত ৭ জানুয়ারি দুই প্রার্থীকে আলাদা কারণ দর্শাও নোটিস পাঠায় ইসি। তারা নোটিসের জবাবও দেন ১৫ জানুয়ারি।
এরপর এ বিষয়ে শুনানির দিন রাখে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে দুই প্রার্থী হাই কোর্টে রিটিআবেদন করায় কমিশনে সেই শুনানি আর হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।