নির্বাচন কমিশন শেখ আফিলউদ্দিন ও মনিরুল ইসলামকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আজ রোববার কমিশন অবিলম্বে এ দুজনের নাম সাংসদ হিসেবে গেজেটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসনে শেখ আফিলউদ্দিন ও যশোর-২ আসনে মনিরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তবে ১ জানুয়ারি শাহিন উল কবীর নামের এক ব্যক্তি এই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। তাতে বলা হয়েছে, দুই প্রার্থী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন কর্মী কেন্দ্র দখল করে দুপুর ১২টার মধ্যে নৌকা প্রতীকের জয় নিশ্চিত করবেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই দুই সাংসদের নাম গেজেটে প্রকাশ করেনি; বরং ৭ জানুয়ারি তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। নোটিশের জবাবে শেখ আফিলউদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন। তবে কমিশন তাঁদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
সে জন্য কমিশন তাঁদের শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ গতকাল আরও বলেন, কমিশন এ মামলায় পক্ষ হবে। এর আগে যশোর থেকে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। সে জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়া হবে।
এরপর অবশ্য কমিশন জানায়, বিষয়টি তাঁরা আদালতের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
আজ সোমবার কমিশন এক বৃিবতিতে জানায়, ‘নির্বাচন কমিশন রিট পিটিশন নং ৩২৮ ২০১৪ ও ৩২৯ ২০১৪ মাননীয় উচ্চ আদালত প্রদত্ত পর্যবেক্ষণ গভীর মনোযোগসহকারে পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান পর্যালোচনা করে জনাব শেখ আফিলউদ্দিনের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য শ্রবণ করে তাঁর প্রার্থিত ক্ষমা মঞ্জুর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চলমান প্রসিডিং থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো। সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর নাম অবিলম্বে গেজেটে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
একই নির্দেশ দেওয়া হয় মনিরুল ইসলামের ক্ষেত্রেও।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।