ঢাকায় শুটিং করে তৃপ্তি পেলেন টালিগঞ্জের নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস ‘বুনোহাঁস’ অবলম্বনে একই শিরোনামে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন তিনি। এ চলচ্চিত্রের নায়ক টলিউড সুপারস্টার দেব। গল্পের প্রয়োজনে শুটিং করতে গতকাল দেবকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন নির্মাতা অনিরুদ্ধ। কলকাতায় বসেই ঢাকার লোকেশন ঠিকঠাক করে নিয়েছিলেন তিনি।
শুটিং স্পটের জন্য অনুমতি নেওয়াটাও হয়ে গিয়েছিল আগেই। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী দেবসহ পুরো ইউনিটকে নিয়ে গতকালই নেমে পড়েন শুটিংমিশনে।
গতকাল রাত নয়টার কিছু পরে নিউ ইস্কাটনরে রাস্তায় একটি চেজিং দৃশ্য ধারন করা হয়। মুহুর্তের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্পটের আশেপাশে বাড়তে থাকে লোকজনের ভিড়। শুটিংয়ের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে পুলিশ বাহিনী।
উপস্থিত জনতা শৃংখলা ভাঙ্গেনি। দূর থেকে দেবকে দেখেই তারা তৃপ্ত। প্রশাসন আর এদেশের মানুষের এমন আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হন নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় আর নায়ক দেব।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আজ অনিরুদ্ধ রায় বলেন, আগে এদেশের মানুষের হূদয় নিংড়ানো আন্তরিকতা আর পরম আতিথেয়তার কথা শুনেছিলাম। বর্তমানে তা স্ব চোখে দেখছি।
এখানকার মানুষ সত্যিই খুব উদার। গতকাল শুটিং করে আমি সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা প্রেক্ষাপট ও আবহাওয়া দুইটি ছিলো অনুকূলে। এখন শুটিং করছি আরিচায়। গোটা ইউনিট নিয়ে সকাল ৮টায় হোটেল থেকে বের হয়েছি।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে শট নেওয়া শুরু করছি। একটানা সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ চলবে। শুটিং ইউনিট গুছিয়ে ঢাকা ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা বেজে যেতে পারে। আগামীকাল সকালে ফের আউটডোর শুটিং রয়েছে।
অন্যদিকে সমরেশ মজুমদার বলেন, উপন্যাসটি এবার বড়পর্দার জন্য অপেক্ষা করছে।
আশা করছি দর্শকরা ছবিটি উপভোগ করবেন। একটি সহজ সরল ছেলে কিভাবে অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়তে পারে তাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে। ২০১২ সালে এই উপন্যাসটি লিখেছিলাম।
জানা গেছে, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ছবিটিতে দেব অভিনীত চরিত্রের নাম ‘অমল’। এতে দেব ছাড়াও অভিনয় করছেন মুনমুন সেন, রাইমা সেন, তনুশ্রী, শ্রাবন্তীসহ অনেকে।
চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং শেষ দৃশ্যের কিছু অংশের চিত্রায়ণ হবে ঢাকায়। গত শনিবার ছবিটির ট্রেইলার মুক্তি পায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।