নির্বাচনকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দিনাজপুর-৪ আসানের সাংসদ এ এইচ মাহমুদ আলী এবং নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু ইতোমধ্যে বঙ্গভবনে পৌছেছেন।
মাহামুদ আলীর সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী শাহীন আলী ও ছোট ভাই মো. আলী শামীম। আর নজরুল ইসলাম বঙ্গভবনে এসেছেন স্ত্রী ফারজানা নজরুলকে নিয়ে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বুধবার বেলা ১২টায় মন্ত্রিপরিষদের নতুন দুই সদস্যকে শপথ পড়াবেন বলে মঙ্গলবারই জানানো হয়।
দুজনের শপথের জন্য বঙ্গভবনের দরবার হলে রাখা হয়েছে দুটি মাইক্রোফোন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা; তার জন্যও রয়েছে একটি মাইক্রোফোন।
সামনের সারিতে রাষ্ট্রপতির আসনের পাশে সাজানো আছে তিনটি চেয়ার।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কেবিনেট সেক্রেটারি আমাকে ফোন করেছিলেন, দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনে শপথ নেয়ার জন্য।
”
কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্বই দিক, তা সঠিকভাবে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ”
নির্বাচনকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী তার আগের দায়িত্বে ফেরত আসছেন বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছে।
নজরুল ইসলামও মঙ্গলবার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আলীর শপথ নেবেন বলে তিনি শুনেছেন।
বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনের পর গত ১২ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়ার পর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে শাহরিয়ার আলম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
মন্ত্রীবিহীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
৪৯ সদস্যের মন্ত্রিসভায় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তিনটি পদ রয়েছে। জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধানেরা মন্ত্রী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি জেপির প্রধানও মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বাকি সবাই আওয়ামী লীগের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।